মতলব জে.বি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সোহেল রানার (৩৬) ২ দফা জানাজা শেষে রোববার রাতে মতলব উত্তরে মোহনপুর ইউনিয়নে তাঁর নিজ বাড়ীতে দাফন করা হয়। গত ৯ জুলাই বিকাল ৩টায় দাউদকান্দি জেলায় গৌরপুর-মতলব সড়কের পালবাজার এলাকায় সিএনজি-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজিতে থাকা শিক্ষক সোহেল রানা ঘটনাস্থলে নিহত হন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন)।
এছাড়া ঐ সিএনজিতে থাকা অপর শিক্ষক মোঃ আল-আমিন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন।
জানা গেছে-ওই দিন বিকালে সোহেল রানা ও আল-আমিন কুমিল্লা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে ২য় সেমিস্টারের ফরম পূরণ করে গৌরিপুর থেকে নারায়ণপুরের উদ্দেশ্যে সিএনজিতে করে রওনা হয়। পালবাজার নামক স্থানে আসার পর বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে শিক্ষক সোহেল রানা নিহত হয় এবং আল-আমিন আহত হয় । নিহত সোহেল রানার গ্রামের বাড়ী মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর গ্রামের বকাউল বাড়ী। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে-ইহান (৫), ইভান (৩) সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন, সহকর্মী ও গুণীগ্রাহী রেখে গেছেন।
রাত ৮টায় নিহত সোহেল রানার ১ম নামাজে জানাজা মতলব জে.বি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। ২য় নামাজে জানাজা গ্রামের বাড়ী মোহরপুরে মোহাম্মদপুর ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এদিকে শিক্ষক সোহেল রানার মৃত্যুতে মতলব জে.বি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও মতলবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় একদিন বন্ধ রেখে শোক পালন করেন। অপর দিকে মতলব জে.বি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও মতলবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষক মিলনায়তনে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবেদক: মাহফুজ মল্লিক, ১০ জলাই ২০২৩