মতলব দক্ষিণ

মতলব মুন্সীরহাটে মেয়র ও কাউন্সিলর সালিসে হামলা : আহত ৫

করোনা চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার মুন্সীরহাট বাজার এলাকায় মেয়র ও একাধিক কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সারা দেশে ভাইরাস বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের নির্দেশনা উপেক্ষা করে পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে সালিশী বৈঠকে দুপক্ষের হামলার ঘটনায় ৫ জন আহত হয়েছে।

৫ জুন শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টায় মতলব দক্ষিণ উপজেলার মুন্সিরহাট বাজারের সিরাজুল হক হাজরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ হামলার ঘটনা ঘটে।আহতরা হচ্ছে- জিএম খলিলুর রহমান(৫২), বশির (,৫৬) মাহবুব হোসেন মুন্না(৩২), সুমা (২৫) ও ভূট্রো হাজরা(৪৭)।

আহতদের মধ্যে সুমা ও ভুট্রো হাজরাকে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছ।

সরেজমিনে জানা যায়, মতলব পৌরসভার মধ্য দিঘলদী গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী জসীমউদ্দীন ও জি এম খলিলের ভাতীজা সুমার সাথে উভয়ে সিঙ্গাপুররে থাকা অবস্থায় তাদের মধ্যে আনুমানিক ১৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়। ওই পাওনা টাকা নিয়ে গত কয়েকদিন পূর্বে সুমা ও জসিমদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে জসিমের ভায়রা রাইজা মাসুদকে মারধর করে সুমা ও তার ভাই মুন্না।

সে ঘটনা সমাধানের লক্ষ্যেে শুক্রবার মুন্সীরহাট সিরাজুল হক হাজরা বালিকা বিদ্যালয়ে মতলব পৌরসভার মেয়র আওলাদ হোসেন লিটনসও ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল হাই বকাউল, ৬ নংওয়ার্ডের কাউন্সিলর মামুন মৃধা,৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মামুন চৌধুরী বুলবুলসহ সামাজিক,রাজনৈতিক ব্যক্তি ও গন্যমান্য লোকজন নিয়ে সালিশ বৈঠকে বসে।বৈঠকে উভয় পক্ষের স্বাক্ষী

প্রমানের ভিত্তিতে সুমার পক্ষ দোষী সাব্যস্ত হয়।পরে সুমার পক্ষকে জসিমদের নিকট ক্ষমা চাইতে বলে উপস্থিত সালিশগন। কিন্তু জসিমের পক্ষ এ রায় না মেনে লাঠিসোঠা৷ নিয়েএ হামলার ঘটনা ঘটায়। হামলায় সুমার পক্ষের লোকজন খুব বেশী আহত হয়।হঠাৎ করে ৩৩৩ তে ফোন পেয়ে মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে ।

আহত সুমা বলেন,আগের মারধরের বিষয়টি পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন লিটনের কাছে জানানো হলে মেয়র স্থানীয়ভাবে সালিশী বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করার প্রস্তাব রাখেন। যার প্রেক্ষিতে আজ সকালে ওই বিদ্যালয়ের মাঠে সালিশী বৈঠক বসে।

সালিশী বৈঠকে উপস্থিত একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সালিশী বৈঠকের শেষের দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্ক বিতর্ক শুরু হয়।এর এক পর্যায়ে প্রবাসী জসিমউদ্দিন ও তার লোকজন স্কুলের গেট বন্ধ করে সুমা ও তার লোকজন কে বেধড়ক মারধর করে আটকে রাখে। আর এই সকল ঘটনায় মেয়র ও কাউন্সিলরদের সামনেই ঘটে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

এই নিয়ে প্রবাসী জসিম উদ্দিনের ভায়রা রাইজা মাসুদ বলেন, তারা আমাদের কাছে কোন টাকাই পাবেনা।টাকা পাওয়ার কোন ডকুমেন্টও তারা দেখাতে পারেনি।গত কয়েকদিন আগে আমাকে মারধর করেছে।সে বিচার আজ হচ্ছিল।হঠাৎ মারামরি ঘটনা ঘটে।

আহত সুমার চাচা জিএম খলিল বলেন, আমার ভাতিজা রাইজা মাসিদের ভায়রার নিকট টাকা পাবে।সে টাকা চাওয়ায় তারা উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে নানা অপবাদ দিচ্ছ। আজ শুক্রবার মেয়র ও কাউন্সিলদের উপস্থিততে পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর তারা হামলা করে।

পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন লিটনের মেবাইলে একাদিকবার এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেননি।

স্টাফ করেসপন্ডেট,৬ জুন ২০২০

Share