মতলব দক্ষিণ

মতলবে মাদ্রাসা ছাত্র মৃত্যুর দেড় মাস পর হত্যা মামলা

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় মাদ্রাসাছাত্র মারা যাওয়ার প্রায় দেড় মাস পর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। গত ৬ মার্চ রাতে মাদ্রাসা ছাত্র সাব্বির হোসেনের মা নূরজাহান বেগম বাদী হয়ে সন্দেহভাজন চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।

সে উপজেলার উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়নের কোটরাবন্দ গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে এবং স্থানীয় ধলাইতলী দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

পরিবার, পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় এক সহপাঠি ফোন করে সাব্বির হোসেনকে বাসা থেকে নিয়ে যায়। এসময় তার (সাব্বির) সাথে একটি মূল্যবান স্যামসাং মোবাইল সেট ছিল। সহপাঠীর সাথে বেরিয়ে যাওয়ার পর ওই রাতে সে বাসায় ফেরেনি।

অনেক খোঁজাখুঁজির পর ২২ জানুয়ারি সকাল আটটায় বাড়ির পাশের একটি ডোবায় স্থানীয় লোকজন সাব্বিরের ভাসমান মৃতদেহ দেখতে পান। তাঁরা সাব্বিরের পরিবার ও স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল হাইকে ঘটনাটি জানান। ওই ইউপি সদস্য বিষয়টি থানায় জানালে ওই দিন সকাল নয়টায় মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাব্বিরের লাশ উদ্ধার এবং থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে। পরে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হয়।

থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, ওই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। ঘটনার প্রায় দেড় মাস পর গত ৫ মার্চ সাব্বিরের লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন থানায় আসে। ওই প্রতিবেদনে নিহত ছাত্রটির মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের চিহ্ন থাকার উল্লেখ করা হয়। এতে ধারণা করা হয়, ওই ছাত্রকে খুন করা হয়েছে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কুতুব উদ্দিন বলেন, গত মঙ্গলবার রাত ১০টায় ওই ছাত্রের মা নূরজাহান বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিহত সাব্বিরের মা নূরজাহান বেগম দাবি করেন, তাঁর ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। ঘটনার হোতাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

প্রতিবেদক- মাহফুজ মল্লিক

Share