চাঁদপুরের মতলব পৌর এলাকার ‘বোন-ভাগ্নির’ সাথে অভিমান করে ‘বিষপানে’ যুবকের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছেঠ। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মতলব থেকে চাঁদপুর নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
নিহত যুবক মফিজ হাওলাদার উপজেলার দিঘলদী গ্রামের মৃত কেরামত আলী হাওলাদারের ছেলে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, নিহত মফিজের দুই ভাগ্নি সাথী ও রাবেয়া ‘মুঠোফোনে অপরিচিত ব্যক্তিদের সাথে কথা বলতো’ এবং তাদের বাড়িতে ‘আসা-যাওয়া’ করতো। এই নিয়ে মফিজ তার বোন কুলসুমা ও ভাগ্নিদের একাধিক বার সর্তক করলেও তারা কর্ণপাত করেনি। ঘটনার দিন সকালে মফিজ তার দুই ভাগনির ‘মুঠোফোনের সিম কার্ড’ নিয়ে যায়। এতে তারা মামার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে। এতে মফিজ রাগে ক্ষোভে মুন্সীরহাট বাজার এলাকা থেকে বিষ ক্রয় করে এনে তা’ পান করে।
পরে মফিজের ডাক চিৎকারে তার ভাইসহ আশপাশের লোকজন দৌড়ে এগিয়ে আসলে মফিজ নিজেই বিষ পান করেছে বলে জানায়।
স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা বেগতিক দেখে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
পরে তাকে চাঁদপুর নেওয়ার পথে মারা যায়।
এলাকাবাসী জানায়, মফিজরা দুই ভাই। তাদের সংসারও আলাদা। তার বোন কুলসুমা বিয়ের পর স্বামী সংসার নিয়ে কোথাও ঠাঁই না পেলে মফিজ তাকে আশ্রয় দেয়। মফিজের কোন স্ত্রী-সন্তান নেই।
ঘটনার পর থেকে মফিজের বোন ও ভাগিনাসহ পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।