মতলব-বাবুরহাট সড়কে বালুর ট্রাকের কারণে সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৪ জনের

চাঁদপুরের মতলব-বাবুরহাট পেন্নাই সড়কে বালুভর্তি ট্রাকের কারণে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার নিভে গেলো ৪টি তাজা প্রাণ।

৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় চলন্ত  সিএনজি (অটোরিকশা) ও মাইক্রোর   মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার সাথে সাথে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের বাঁচানোর তাগিদে  উদ্ধার কাজে ব্যস্ত হওয়ায় কি কারনে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল ওই মুহুর্তে কেউই নজর রাখেনি।তখন উপস্থিত লোকদের ভাস্যমতে কেউ দোষারোপ করেছে সিএনজিকে আবার কেউ দোষারোপ করেছে মাইক্রোকে।

এই সেই বালু ভর্তি ট্রাক, যেটি ওভারটেক করতে গিয়ে সিএনজি ও মাইক্রোটির সংঘর্ষ ঘটে

সরেজমিন অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে সিএনজি ও মাইক্রোর মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনার কারণ। বালু ভর্তি একটি ট্রাক বরদিয়া আড়ং বাজার এলাকা থেকে মতলবের দিকে যাচ্ছিল।বরদিয়া কাজী সুলতান আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ২শ গজ পশ্চিম দিকে স্থানীয় একটি মসজিদের নিকট বালি ভর্তি ট্রাকটি সড়কের বাম দিক দিয়ে মতলবের দিকে যাচ্ছিল, ঠিক ওই মুহুর্তে চালকসহ ৭জন যাত্রী নিয়ে  চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা  সিএনজিটি বালুর ট্রাকটি ওভারটেক (পেছনে ফেলে সামনে যাওয়া) করে যেতে চাইলে বিপরীত দিক থেকে (মতলব থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্য) ছেড়ে আসা মাইক্রোটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং সিএনজিতে থাকা এক যাত্রী ঘটনাস্থলে ও চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর ৩জন মারা যায়। ওই এলাকার দোকানদার ও ৫/৭ জন ব্যক্তির সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানা যায়।

এছাড়া ঘটনাস্থলের পাশে’ ইশরাত ইলেকট্রনিক্স’ দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে এমনটিই দেখা যায়।তবে এলাকারবাসীর অভিযোগ,মতলব -বাবুরহাট সড়ক ঘেষে বেশ কয়েকটি বালু ব্যবসা জমে উঠেছে। যার কোন অনুমতি আছে বলে মনে হয় না। ওই বালু ভতি  ট্রাক/ট্রলির কারনে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।  এছাড়া সরকারি  রাস্তার ব্যপক ক্ষতি  সাধন হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদাসীনতার কারণে এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা  রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে  বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,থানা পুলিশ ও পৌরসভার মেয়রের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহনের জোর দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় মাইক্রো-সিএনজির অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ ৪ জন নিহত হয়েছে।

নিহতরা হচ্ছেনঃ মতলব উত্তর উপজেলার ঘনিয়ারপাড়  গ্রামের জালাল উদ্দিন মোল্লার ছেলে জসিম উদ্দিন (৫০), চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার  এলাকার  হারুন বেপারীর ছেলে হানিফ বেপারী(২৮), চাঁদপুর শহরের নতুন বাজার এলাকার আজিম জামানের মেয়ে নুপুর (১৪) ও ৭০ বছর বয়সী অজ্ঞাত মহিলা। তবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনার সাথে সাথে সিএনজি ও মাইক্রো চালক পালিয়ে যায়।

এদিকে  নিহত হানিফ বেপারীর স্ত্রী জান্নাত আক্তার পপি আশঙ্কাজনক অবস্থায় (২৫)  হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ মামলা করেননি।তবে জিডি মুলে লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রতিবেদকঃ মাহফুজ মল্লিক, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

Share