চাঁদপুর মতলব বাজার ও সদর এলাকায় করোনা সংক্রমণরোধে বাজারের ৭টি প্রবেশ পথ অর্থাৎ লিংক রোডগুলোর কড়া নজরদারিতে ছিল স্বেচ্ছাসেবক দল।বাজার প্রবেশের ক্ষেত্রে জনগণের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতে স্বেচ্ছাসেবক দলেরএ নজরদারি চলে। এছাড়া প্রত্যেকের দেহের তাপমাত্রা নির্ণয় করে এ সময়ে বাজারে প্রবেশ করতে দেয়া হয়।
১৬ জুন মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও বণিক সমিতির যৌথ প্রচেষ্টায় এবং করোনাকালের স্বেচ্ছাসেবকদলের অংশগ্রহণে এ কার্যক্রম সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
বাজারে প্রবেশের ৫ টি লিংক রোড সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,বাজারে আগত নারী-পুরুষ সকলর তাপমাত্রা পরীক্ষা করে এবং মাস্ক দেখে দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবীরা তাদের কর্মস্থলে যেতে দেন।
মতলব বাজার ও আশপাশের এলাকায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় প্রশাসন গত ৩ জুন থেকে ১৩ জুন মতলব বাজার লকডাউন রাখে।
এরই মধ্যে ব্যবসায়ী,রাজনীতিবিদ,স্বাস্থ্যকর্মী,শিক্ষকসহ সদর এলাকার বিভিন্ন পরিবারের সদস্য নতুন করে সংক্রমিত হয়। এতে জনমনে আতঙ্ক বেড়ে যায়। তাই করোনা প্রতিরোধ কমিটি বাজারে মাস্কবিহীন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ও দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেয়।
শহরের বিভিন্ন পেশাজীবীর একাধিক ব্যক্তি বলেন, আজকের সিস্টেমটা বেশ ভালো হয়েছে। যে কেউই প্রবেশ করতে পারবে না বিধায় বাজার ও রাস্তাঘাটে লোকজন কম ছিল ও সুশৃঙ্খল ছিল।
স্বেচ্ছাসেবক দলের শাওলিন,আলমাছ,হাবীব,মুহিন, তানভীরসহ অনেকে বলেন,মাস্কবিহীন কাউকেই বাজারে কিংবা রাস্তায় চলাচলে নিষেধ করেছি। আর তাপমাত্রা মাপায় পরিবেশটা সুন্দর হয়।অপ্রয়োজনে যারা বাহিরে বেড়িয়েছে তাদের ফিরিয়ে অনুরোধ করেছি বাসায় থাকতে। এছাড়া কলেজ গেইট ও পশু হাসপাতালের মোড় থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখায় সামাজিক দূরত্ব মেনে লোকজনের চলাচলে সহজ হয়েছে।
দিনব্যাপী এ কার্যক্রমের তদারকি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা হক, সহকারী কমিশনার( ভূমি) নুশরাত শারমিন,
মেয়র আওলাদ হোসেন লিটন,ওসি স্বপন কুমার আইচ প্রমুখ।
প্রতিবেদক:মাহফুজ মল্লিক,১৭ জুন ২০২০