Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব দক্ষিণ / মতলব দক্ষিণ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অডিটের নামে অর্থ আদায়!
Matlob-Edu-Ofice

মতলব দক্ষিণ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অডিটের নামে অর্থ আদায়!

মতলব দক্ষিণ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের বিরুদ্ধে অডিটের নামে প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ ওঠেছে। ‘স্লিপের’ টাকায় বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ সজ্জিতকরণ (উন্নয়নমূলক) কাজের ভাউচার জমা দেয়ার সময় প্রত্যেকে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে আদায় করার অভেযোগ রয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী মো. বোরহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে।

২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে মতলব দক্ষিণ উপজেলার ১১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘স্লিপের’ নামে ৪৫ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শ্রেণিকক্ষ সজ্জিতকরণ অর্থাৎ উন্নয়ণমূলক কাজ করার জন্য প্রত্যেক স্কুলের নামে ৪০ হাজার টাকা ‘স্লিপের’ বরাদ্ধ দেয়া হয়।

এ প্রতিবেদনে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ১০ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, ‘স্লিপের’ ৪০ হাজার টাকা খরচের ভাউচার জমা দিতে হয় শিক্ষা অফিসের অফিস সরকারী বোরহান উদ্দিনের নিকট। তিনি শিক্ষা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে অডিটের নামে প্রত্যেক প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে আদায় করে নেন। কোনো কোনো শিক্ষকরা ওই অডিটের টাকা দিতে না চাইলে অফিস সহকারী বোরহান উদ্দিন তাদের (প্রধান শিক্ষক) সাথে খারাপ আচরণ করে। এমন অভিযোগ সংক্ষুব্দ প্রধান শিক্ষকদের।

কয়েকজন শিক্ষক আরো জানান, বোরহান উদ্দিন শিক্ষা কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে শিক্ষকদের বদলী ও নানা ধরণের হয়রানীর ভয়ভীতি দেখায় শিক্ষকদেরকে। শিক্ষকরা কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে শিক্ষা অফিস যখন যে খরচ দাবি করে তখন তাই দিতে বাধ্য। এ ধরণের আচরণে ক্ষিপ্ত একাধিক শিক্ষক বলেন, আমরা সব শিক্ষকরা তাদের কাছে জিম্মি।

এসব বিষয়ে অভিযুক্ত অফিস সহকারী বোরহান উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে অডিটে টাকার প্রয়োজনের কথা উল্যেখ করে বলেন, ‘অডিটের জন্য টাকার প্রয়োজন হয়।’ তবে প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নেয়ার বিষয়টি এড়িয়ে বলেন, ‘আপনারা এটা নিয়ে বাড়াবাড়ী করার দরকার নেই। স্যারে (শিক্ষা অফিসার) আসলে আপনাদের সাথে কথা বলবে।’

পরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল হকের সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজী হননি। তবে এ সকল অডিটের কাজ অফিস সহকারী (ইউডি) করে থাকেন বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘অডিটের নামে টাকা নেয়ার কোনো বিধান নেই। যদি কেউ নিয়ে থাকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

প্রতিবেদক : মাহফুজ মল্লিক

Leave a Reply