মতলব দক্ষিণ উপজেলার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ এম এ মালেক

চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার কলেজ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম ঐতিহ্যবাহী মুন্সির হাট কলেজের অধ্যক্ষ উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে এম এম মালেক নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে কলেজ পর্যায়ে মুন্সিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হন। অধ্যক্ষ এম এ মালেক সরাসরি ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট এ কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন্।

অধ্যক্ষ এম এ মালেক মতলব উত্তর উপজেলার বায়ুরচর ইসলামাবাদ গ্রামে এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম মরহুম মৌলভী আবদুল লতিফ প্রধানিয়া এবং মাতার নাম সফুরা খাতুন। তিনি ১৯৮৩ সালে মতলব লুধূয়া স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি, ১৯৮৫ সালে ঢাকা কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। অত:পর বিএ অনার্স এমএ (ইিতিহাস) ও বিএড ডিগ্রি অর্জন করেন। সর্বপ্রথম তিনি ১৯৯৩ সালে সিলেটের তাজপুর ডিগ্রি কলেজে মহান শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন। পরে ১৯৯৬ সালে রয়মনেন নেছা কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। ২০০৫ সালে মতলব লুধূয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। এ প্রতিষ্ঠানেরই ছাত্র ছিলেন। এরপর ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত মুন্সির হাট কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি বর্তমান বিভাগীয় পেশাভিত্তিক বেশ ক’টি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

অধ্যক্ষ এম এ মালেক নিজ কলেজের শিক্ষার মান ও ভৌতিক অবকাঠামোর উন্নয়নে ভূমিকা পালন করে আসছেন। বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি আদায়ে শিক্ষক সংগঠন বাকশিস এর সাথে সম্পৃক্ত থেকে শিক্ষা ও শিক্ষককের মর্যাদা রক্ষায় কাজ করেছেন। মতলব দক্ষিণ উপজেলার কলেজ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম মুন্সির হাট কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘ সরকারি নীতিমালায় তাঁকে নির্বচিত করায় সংশ্লিষ্ঠ নির্বাচন কমিটিকে ধন্যবাদ জানান।

অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘ গ্রামের ৯০ ভাগ অভিভাবকগণই অসচেতন। যার যার ছেলে মেয়ে কলেজে যথাসময়ে আসলো কিনা বা পড়াশুনা করছে কিনা তার খোঁজ-খবরটুকু রাখার প্রয়োজন মনে করছেন না। অথচ পরীক্ষার ফরম পুরণের সময় এসে দেখা-সাক্ষাত করতে আসেন। এ অবস্থা থেকে অভিভাবকগণকে বেড়িয়ে আসার আহবান জানান।কলেজের সার্বিক উন্নয়নে গভর্ণিং বডির সম্মানিত সদস্যগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।’

স্টাফ করেসপন্ডেট, ২ জুন ২০২৪

Share