মতলব দক্ষিণ ইমাম উলামা ঐক্য পরিষদের সেমিনার
‘আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে মসজিদের ভূমিকা শীর্ষক ইমাম মুসল্লী কল্যাণ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে মতলব দক্ষিণ ইমাম উলামা ঐক্য পরিষদের সেমিনার ও সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সকাল সাড়ে দশটায় অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা মানিকনগর পুকুরপাড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব ও মতলব দক্ষিণ ইমাম উলামা ঐক্য পরিষদের সভাপতি
মুফতি রোকনুজ্জামান মাদানীর সভাপতিত্বে, মতলব দক্ষিণ উপজেলা জামে মসজিদের খতিব মুফতি মোরশেদ আলম সিরাজীর পরিচালনায়. বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর বড় স্টেশন রেলওয়ে জামে মসজিদের খতিব ও সংগঠনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মুফতি. সিরাজুল ইসলাম, মতলব বাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি গোলাম সারওয়ার ফরিদী,মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম সাগর, মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা: গোলাম রায়হান,মতলব প্রেসক্লাবের আহবায়ক মো: আমির খসরু, মতলবগন্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক. কাজী শাহ-আলম,মতলব পৌর জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন, মতলব দক্ষিণ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: হাসান মামুন প্রমুখ।
সেমিনারে সংগঠনের পক্ষ থেকে ইমাম ও মুসল্লীদের কল্যাণে ১১দফা সুপারিশ পাঠ করেন. মতলব দক্ষিন ইমাম উলামা ঐক্য পরিষদের সেক্রেটারি. হাফেজ আশিকুর রহমান জিসান। সুপারিশ গুলো হচ্ছে
১. মসজিদ ভিত্তিক সুবাহী (সকালের) মকতব বাদ্ধতামূলক করা এবং এর জন্য পৃথক সম্মানি নির্ধারণ করা।
২. মসজিদ কমিটি গঠনে ইসলামী শরীয়তের নিতিমালা অনুসরন করা (প্রকাশ্যে কবিরাহ গুনাহে তথা হারামে লিপ্ত এমন ব্যক্তিকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত না করা)।
৩. মাসিক অযিফা (বেতন) নূন্যতম ১৫০০০ টাকা নির্ধারণ করা এবং বাৎসরিক পার্সেন্ট হারে বেতন বৃদ্ধি ও দুইটি ঈদ বোনাস রেজুলেশন ভূক্ত করা।
৪. মসজিদ পরিচালনা পর্ষদ অথবা সমাজের কেউ যেন ইমামের সাথে অসম্মান মূলক আচরণ না করে এ ব্যাপারে গঠনমূলক নীতিমালা প্রণয়ন করা।
৫. মসজিদে খেদমতরত উলামায়ে কেরামের জন্য আবাসন সুবিধা ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন ভাতা প্রণোদনা ব্যাবস্থা করে তা বাস্তবায়ন করা।
৬. নিয়োগ ও অব্যাহতি প্রক্রিয়ায় স্থানীয় বিজ্ঞ আলেমদের মতামত গ্রহণ ও লিখিত নিয়োগ-অব্যহতি পত্র প্রদান করা।
৭.ইসলামী শরীয়তের আলোকে গ্রহণযোগ্য কারণ ব্যতীত অব্যহতি না দেওয়া এবং অবসর গ্রহণের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৩ মাসের আগাম নোটিশ এবং এক কালিন অবসর ভাতা প্রধান করা।
৮. মসজিদের সকল ক্ষেত্রে খতিব সাহেবের পরামর্শ গ্রহণ করা এবং দ্বীন ও সত্য প্রচারে পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
৯. মাসে কমপক্ষে ৪ দিন ছুটি ও বাৎসরিক এককালিন ছুটি নিশ্চিত করা।
১০. ব্যক্তিগত কাজে বা দুনিয়াবী স্বার্থে মসজিদের আসবাবপত্র ও স্টাফদের ব্যবহার না করা।
১১. মসজিদের আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছ হিসাব ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। কমপক্ষে বছরে একবার মসজিদের যাবতীয় আয়ব্যয়ের হিসাব জনসম্মুখে পেশ করা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি শরিফুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মাওলানা রিয়াজুল ইসলাম মাহমুদী,মুন্সীরহাট মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা আব্দুল হান্নান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলওয়াত করেন মুফতি সোয়াইব আল ফরিদী এবং হামদ পরিবেশন করেন.মাওলানা জাহিদুল ইসলাম।
সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন,মাওলানা নাছির উদ্দীন, মুফতি আরিফ বিল্লাহ কাসেমী মাওলানা ইলিয়াস হোসাইন, মাওলানা শায়াত জামিল,হাফেজ মাওলানা রেজাউল করিম আবরার. হাফেজ মাওলানা ইব্রাহিম মিয়াজী,হাফেজ মাওলানা শাহপরান মিয়াজী সহ সংগঠনের অন্যান্য দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ।
উপস্থিত ছিলেন মতলব দক্ষিণ উপজেলার প্রায় পাঁচ শতাধিক ইমাম উলামা ও মুসল্লী বৃন্দ ।আলোচনা শেষে সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
প্রতিবেদক: মাহফুজ মল্লিক/ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫