আমেরিকান ‘হলিবার্ড’ বাংলাদেশে ‘টার্কি’ মুরগি নামে পরিচিত। এ টার্কি মুরগি পালনে মানুষের চাহিদার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় প্রসার বেড়েছে।
টার্কি মুরগি পালন করে ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদনের মাধ্যমে মতলব দক্ষিণ উপজেলাসহ আশে-পাশের এলাকার মানুষের মাঝে এ টার্কি মুরগি পালনে উদ্বুদ্ধ করছেন দিঘলদী গ্রামের মুরু মেম্বারের স্ত্রী মমতাজ বেগম ও কন্যা মুক্তা আক্তার।
একশ বাচ্চা নিয়ে নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছেন টার্কি মুরগির এ খামার। এখন প্রতিমাসে তিনি ডিম থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে ৮ থেকে ৯ শ বাচ্চা বিক্রি করেন। বিগত আট মাসে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার বাচ্চা বিক্রি করেছেন। বর্তমানে খামারে প্রায় ৭ শতাধিক টার্কি মুরগি রয়েছে।
কম খরচে দ্রুত বর্ধনশীল এ প্রজাতি পালন করে মা মমতাজ ও মেয়ে মুক্তা অধিক লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। শান্ত স্বভাবের টার্কি মুরগির মাংস খুব পুষ্টিকর ও সুস্বাদু।
তাদের ফ্যামিলি টার্কি ফার্মটি দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে শ শ মানুষ ভিড় জমায়। অনেকেই টার্কি মুরগি পালনের পরামর্শ নিতে আসেন। তারাও চান বেকার যুবকেরা এ মুরগি চাষ করে স্বাবলম্বী হোক। টার্কি মুরগির বাচ্চা (১-৭ দিনের) বিক্রি হয় ৩৫০ টাকায় এবং ১৫ দিনের বাচ্চা ৫শ টাকায় বিক্রি করা হয়। বিভিন্ন বয়সের এই মুরগির দাম কম-বেশি হয়।
মমতাজ বেগম ও মুক্তা আক্তার বলেন, ‘টেলিভিশনে শাইখ সিরাজের টার্কি পালনের একটি প্রতিবেদন দেখে আমাদেরও আগ্রহ সৃষ্টি হয়। এরপর গত ২০১৭ সালের অক্টোবর মাস থেকে নিজ বাড়ির আঙিনায় ১০০টি টার্কি মুরগি কিনে খামার গড়ে তুলে পালন শুরু করি। বর্তমানে খামারে ৭ শতাধিক টার্কি মুরগি রয়েছে। এ ছাড়া টার্কি মুরগির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর হ্যাচারিও করা হয়।’
গড়ে প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০টি ডিম পাওয়া যায়। সে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে তা বিক্রি করা হয়। প্রতিটি ডিমের মূল্য ১০০ টাকা। ডিমের চাইতে টার্কি মুরগির চাহিদা বেশি। বিক্রির পরিমান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটি টার্কি মুরগীর ওজন চার থেকে ১০-১২ কেজি পর্যন্ত।
প্রতিটি মোরগ ৪ শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়। একটি টার্কি মুরগি ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা বিক্রি হয়। টার্কি মুরগি যে কেউ বাসা বাড়িতে পালন করতে পারবে। কারন এটা লাভজনক ব্যবসা।
এ মুরগির রোগ কম হয় এবং খাবারও কম খায়। খাবারের মধ্যে দেশীয় মুরগির মতই পোল্ট্রি ফিড খায়। তবে বাড়তি শুধু শাকসবজি খায়।
প্রতিবেদক : মাহফুজ মল্লিক