মতলব দক্ষিণে চাঁদাবাজ হেলাল গংদের থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিনে চাঁদাবাজ হেলাল গংদের অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে পরিত্রাণ পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী আব্দুর ছাত্তার মিয়াজী।

১৫ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে চাঁদপুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আব্দুর ছাত্তার মিয়াজীর স্ত্রী নার্গিস সুলতানা।

চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের বাবুর পাড়ার বাসিন্দা আব্দুর ছাত্তার মিয়াজী। লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, আমি একজন অসহায় নিরীহ মানুষ গত আওয়ামী দুর্রশাসনের সময় সন্ত্রাসী দানব প্রকৃতির নেতা সাবেক মন্ত্রী, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার (এমপির) সমর্থক, মতলব দক্ষিণ, উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শওকত আলী বাদলের আপন ভাই মোঃ মানিক দেওয়ান পিতা মৃত হাজী আমির হোসেন দেওয়ান, সাং- উত্তর বাইশপুর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর, সন্ত্রাসী মায়া চৌধুরীর দাপট দেখিয়ে দিনকে-রাত রাতকে-দিন বানাতে সক্ষম ছিল মানিক গংরা। আমাকে ঘরের ভেতরে বন্দি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি জীবনে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ১৬৬নং ভাঙ্গার পাড় মৌজা, খতিয়ান নং (B.S) ৩৫৪ দাগ নং হাল ৮২১ জমির পরিমাণ .২৭ শতাংশের মধ্যে .২১ শতক ভিটা ভূমি উল্লেখ করে নন জুটিশিয়াল স্টেম্পে অর্থাৎ ৩০০ টাকার স্টেম্পে ৩ পাতায় জোর পূর্বক বায়নাপত্র স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। নিজ হাতে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য ছিলাম জীবন রক্ষার জন্য, উক্ত মানিক সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও তার আপন ছোট ভাইয়ের দাপটে তার নিজেরও ক্ষমতা ছিল ব্যাপক থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন তার কথা মোতাবেক উঠাবসা করত উপায়ও ছিল না, আওয়ামী লীগের ৫ই আগস্টে পতনের পর সন্ত্রসী মানিক গংরা মতলব ছেড়ে পলিয়ে যায়। অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০২৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট আদালতে আওয়ামী ডেবিল মানিক গং আসামি করে মামলা দায়ের করি, মামলা নং, ১১০৮/২৪ আদালতও যথারীতি মতলব দক্ষিণ, থানায় ষ্ট্যাম্প উদ্ধারের জন্য তদন্তভার অর্পন করেন মতলব দক্ষিণ থানা তদন্ত করে ষ্ট্যাম্প উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন যে, ষ্ট্যাম্প পাওয়া যায় নাই প্রতিবেদন কপি সঙ্গে দেওয়া হলো। বর্তমানে আওয়ামী ডেবিল মানিক দেওয়ান, কবির হোসেন, বারেক প্রধানিয়া, শরিফুল্লাহ, গংরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ও ভূমি দস্যু হেলাল প্রধানের যোগসাজসে পূর্বের উদ্ধার না হওয়া সেই বায়না দলিলের উপর মানিক গংরা সন্ত্রাসী ভূমি দস্যু ও চাঁদাবাজ হেলাল প্রধানের নিকট বায়না ষ্ট্যাম্পের উপর বায়না করেন এবং হেলাল গংরা উক্ত ভিটা বাড়ির উপর অতর্কিত কবির হোসেন সরকার, হামলা করে এবং বাড়ির বিভিন্ন গাছপালা কেটে নিয়ে যায়। ভূমি দস্যু হেলাল, মানিক দেওয়ান, শরিফুল্লাহ গং আসামি করে ২০২৫ সালের ২৮ জুন চাঁদপুর বিজ্ঞ আমলি আদালতে মামলা দায়ের করি, মামলা নং- সি আর ২৮৫/২০২৫, যাহা চলমান।

এসময় চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রহিম বাদশা,
পরিবারের পক্ষে ভাগিনার অনিক পাটওয়ারী, বোন হালিমা বেগমসহ গনমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নার্গিস সুলতানা বলেন, গত দুই দিন ধরে আমাদের জায়গার গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে। থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে তারা কোন কাজ করে না। পুলিশের কাছে ন্যায় বিচার পাই নাই।

২০২৪ সালে সন্ত্রাসী মানিক দেওয়ানের নেতৃত্বে কবির হোসেন, বারেক প্রদানিয়া, শরিফুল্লাহ গংরা জোরপূর্বক ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে ১লক্ষ টাকা করে বায়না করে। জমির শতাংশ প্রতি বর্তমানে ৩ লক্ষ টাকা। তখন তারা মায়া চৌধুরীর মৃত ছেলের ছবি টানিয়ে জমি দখল করে। সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমরা ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি।

সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট/১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫