মতলব দক্ষিণের নারায়ণপুর বাজারের একটি ৫ম তলা ভবনের করোনা উপসর্গ নিয়ে এক মহিলার মৃত্যুতে মঙ্গলবার রাতভর এলাকায় হট্টগোল ও বাক বিতন্ডা হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতি ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
বাড়িটি লকডাউন ও ঐ ভবনের সকল বাসিন্দাদের স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ প্রদান করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান। মৃত মহিলার পরিবারের অন্য সদস্যদের বাড়ীতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছে বাড়ীর মালিক।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন রিপন মীর ও এলাকাবাসী জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত মহিলা নারায়ণপুর বাজার সংলগ্ন কাফি মিয়ার ৫ম তলা ভবনে ভাড়া থাকতো। তিনি ১৫দিন আগে নারায়নগঞ্জের সানারপাড়ে মেয়ের বাসা থেকে মতলবে ছেলের বাসায় আসেন।
১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার মধ্যরাতে শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। বাড়ীর মালিক ও এলাকাবাসীর দাবী তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। তবে পরিবারের দাবী তিনি হার্ট এ্যাটার্কে মারা গেছেন।
এ নিয়ে এলাকাবাসী ও মৃত ব্যক্তির পরিবারের মধ্যে বাক-বিতন্ডা অব্যাহত রয়েছে। এলাকাবাসী মৃত মহিলার লাশ নিয়ে গতকাল রাতে এলাকায় প্রবেশ করতে বাধা দেয়। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
এদিকে ঐ রাতেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর নিয়ম না মেনে ঐ মহিলার দাফন কাপন সম্পন্ন হয়। এ নিয়ে এলাকায় অসন্তোষ বিরাজ করছে।
মৃত মহিলার পরিবারকে বাড়িতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভবনের মালিক মোঃ কাফি মিয়া। আজ বুধবার সকালে বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে এবং ঐ বাড়ীতে বসবাসরত সকল পরিবারকে স্বেচ্ছায় ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে বলে স্যানিটারী ইন্সপেক্টর গাজী মোঃ খোরশেদ আলম জানিয়েছেন।
বাড়ির মালিক মোঃ কাফি মিয়া জানান,বাড়িতে বসবাসরত অন্যান্যদের নিরাপত্তার কথা ভেবে মৃত মহিলার পরিবারকে বাড়ীতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি।
প্রতিবেদক:মাহফুজ মল্লিক,১৫ এপ্রিল ২০২০