Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব উত্তর / মতলব এক্সপ্রেসের ২৬ জীবন বাঁচানো পারভেজ পাচ্ছেন বিপিএম পদক
parver police

মতলব এক্সপ্রেসের ২৬ জীবন বাঁচানো পারভেজ পাচ্ছেন বিপিএম পদক

কুমিল্লার গৌরীপুরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খাদে পড়া বাসের যাত্রীদের জীবন বাঁচানো পুলিশ সদস্য পারভেজ মিয়াকে পুরস্কৃত করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার পুলিশ সপ্তাহে তার হাতে কাজের জন্য পুলিশের সর্বোচ্চ পুরস্কার বাংলাদেশ পুলিশ পদক বা বিপিএম তুলে দেয়া হবে।

পুরস্কার হিসেবে পারভেজ মিয়া পাবেন নগদ এক লাখ টাকা। এ ছাড়া পুরো চাকরিজীবনে মাসে বেতনের অতিরিক্ত দেড় হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন।

পারভেজ মিয়া প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন ২৫ থেকে ২৬ জনের। পুরস্কারের এই অর্থ তার কাছে গৌণ। সেই দিনের সেই স্মৃতি তাকে এখনো গর্বিত করে। মানুষের সেবার জন্য শপথ নিয়েই পুলিশ বাহিনীতে আসা তার। আর মানুষের জীবন বাঁচানোর চেয়ে বড় কাজ আর হতে পারে না বলে মনে করেন তিনি।

পারভেজ মিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধার ছেলে। তার বাবা দেশবাসীকে পরাধীনতার হাত থেকে মুক্ত করতে অস্ত্র হাতে যে যুদ্ধ করেছেন, সেখান থেকেই মানবসেবার আদর্শ গ্রহণ করেছেন তিনি।

২০১৭ সালের ৭ জুলাই শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গৌরীপুরে প্রায় ৩০ থেকে ৩৪ জন যাত্রী নিয়ে ‘মতলব এক্সপ্রেস’ নামে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ডোবায় পড়ে যায়। এ সময় সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার কনস্টেবল পারভেজ মিয়া।

পারভেজ তাকিয়ে দেখেন পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত ডোবায় ডুবে যাচ্ছে বাসটি। হাতে সময় নেই, কিছু চিন্তা না করেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েন ডোবায়। গাড়ির জানলার কাঁচ ভেঙে ভেতর গিয়ে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ২৫ থেকে ২৬ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পারভেজ যাদেরকে উদ্ধার করেছিলেন তাদের মধ্যে ছিল পাঁচ থেকে ছয় মাস বয়সী একটি শিশুও।

পারভেজ মিয়ার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার হোসেনদি গ্রামে। তিনি নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার থেকে ৪২তম ব্যাচে প্রশিক্ষণ শেষে ২০১৬ সালে পুলিশে যোগ দেন। তিনি বর্তমানে উত্তরায় হাইওয়ে পুলিশের সদরদপ্তরে কর্মরত।

পরে পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ডেকে এনে পারভেজ মিয়াকে নগদ এক লাখ টাকা ও একটি মোটরসাইকেল উপহার দেন।
এবার পারভেজ মিয়া পুরস্কার নেবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে। এই খবর এরই মধ্যে জেনেছেন তিনি। আর এ জন্য তার আনন্দের সীমা নেই।
পারভেজ মিয়া বলেন-‘আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার নীতি ও আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমার জীবন গড়ে তুলেছি। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দেয়া আমার কর্তব্য। আমার কর্তব্য পালনে আমাকে এভাবে সম্মানিত করা হবে তা ভাবিনি।’ (আরটিভি অনলাইন)

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৩:৩০ পিএম, ৭ জানুয়ারি ২০১৮, রোববার
এএস