বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, ক্র্যাক প্লাটুনের কমান্ডার দুই বারের সাবেক সফল মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রমকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আনন্দ মিছিল, আলোচনা সভার আয়োজন করেছে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রলীগ।
বুধবার (৫ মার্চ ) বিকেলে উপজেলার সুজাতপুর বাজারে আনন্দ এ আনন্দ মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত আলোচনা সভায় উপজেলার,ও ছেংগারচর পৌরসভারসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি,সাধারণ সম্পাদকসহ ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে মতলবের মাটি,মায়া ভাইয়ের ঘাঁটি,মতলববের মাটি দিপু ভাইয়ের ঘাঁটি, মতলবের মাটি মাহি চৌধুরী ঘাঁটি শ্লোগানসহকারে মিছিলে নিয়ে আলোচনা সভায় অংশ গ্রহণ করেন এবং মিছিলে মিছিলে মুখরিত করে তোলেন সভাস্থল।
জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি এসএম সেলিম রেজার সভাপতিত্বে ও উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান কাজল এবং উপজেলা ছাত্রলীগের ১ নাম্বার সদস্য সদরুল আলমের যৌথ সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্যে দেন– উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মিনহাজ উদ্দিন খান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সচিব তামজিদ সরকার রিয়াদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি জহির রায়হান, সাবেক সদস্য মোসাদ্দেক হাওলাদার মামুন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রহমত উল্লাহ সরকার লিখন, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক এসএম নোমান দেওয়ান, আল-আমিন সরকার বিজয়, নাজমুল হোসেন, আমজাদ নেতা, ছেংগারচর পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তোফায়েল আহম্মদ, ছেংগারচর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মনির হোসেন, ছেংগারচর পৌরসভার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম প্রধান,গজরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম জয়, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সুলতানাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মাজারুল ইসলাম শান্ত, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন ভূইয়া, সাধারণত সম্পাদক তামজিদ হোসেন রিয়াদ, ফরায়জীকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাছিম রানা, সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন ছাত্তলীগের সহসভাপতি, আসিফ সরকার, ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারন সম্পাদক শাকিল দেওয়ান, মোহনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক, আরিফুল ইসলাম লিখন, ষাটনল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক নাইম পাটোয়ারী, উপজেলা ছাত্রলীগের জুবায়ের আহমেদ জনি প্রমূখ।
পরে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রমকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করায় উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি সুজাতপুর বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করেন।
এরপর উপজেলা ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের নিয়ে অংশ গ্রহণে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইফতার মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
মিলাদ ও দোয়ার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায় কামনা করা হয়।
এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম,ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য মতলব উত্তরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের আইকন সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু,বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি আশফাক হোসেন চৌধুরী মাহিসহ তাদের পরিবারের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায় কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ েেকন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি আশফাক চৌধুরী মাহি।
তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরকে উজ্জীবিত করতে অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য যোগদান করে বিভিন্ন দিগনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।
এসময় তিনি বলেন, মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রলীগকে আরো সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করে তুলতে হবে। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চতুর্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী করতে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে সকল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরকে তিনি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,এই মতলবের যত উন্নয়ন হয়েছে, তা মোফজ্জল চৌধুরী মায়া বীর বিক্রমের অবদান। তিনি আধুনিক মতলবের রুপকার। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা,বীর বিক্রম।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এই মতলকে মিনি সিঙ্গাপুরের রুপান্তরিত করার লক্ষে কাজ শুরু করেছিলেন। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আবার নৌকা প্রতীকে এমপি, মন্ত্রী হয়ে এই মতলকে মিনি সিঙ্গাপুর সিটি পরিণত করবেন ইনশাল্লাহ। আমরা মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রমের নেতৃত্বে চাঁদপুর-২ আসন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে উপহার দিব।
এই মতলবের মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম ও তাদের পরিবারের বাইরে গিয়ে আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগকে কেউ গ্রতিগ্রস্ত করতে চাইলে, তার দাত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম জাতির পিতার সময় থেকে শুরু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ও স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে তার অবদান চিরস্মনীয় করে রেখেছেন।
বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠসন্তান মুক্তিযোদ্ধারা, যাঁদের জীবন বাজি রাখা সংগ্রামের ফলে পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন এই দেশের। সেই মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অন্যতম মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল ‘ক্র্য্যাক প্লাটুন’। এই গেরিলা দলের নানামুখী কর্মকাণ্ডের কারণে বিশ্ব জানতে পারে, স্বাধীনতা চায় বাংলার জনগণ। চায় স্বাধীন ভূখণ্ড।
সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাতির সূর্যসন্তান মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রমকে দেশের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’-এ ভূষিত করেছে সরকার। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
এর মধ্য দিয়ে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে সম্মান জানানোর পাশাপাশি এদেশের অগণিত মুক্তিযোদ্ধাকে আবারো সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রতিবেদক:খান মোহাম্মদ কামাল, ৫ এপ্রিল ২০২৩