চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন বাজারের ৫ ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। করোনা ভাইরাস আতংকের সুযোগে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে বিক্রি, পণ্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ এবং মূল্য তালিকা না থাকায় তাদেরকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় অর্থদন্ড দেন উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এএম জহিরুল হায়াত। আইন শৃক্ষখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিলেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নাসির উদ্দিন মৃধা।
অর্থদণ্ড ব্যবসায়ীরা হলেন, রমিজ আলী (২৫), কবির (৬০), মোখলেছুর রহমান (৫৫), আমিনুল (২৫), আল-আমিন (৩৬)। ৫ জন ব্যবসায়ীকে ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ডে দন্ডিত করা হয়।
শুক্রবার সকালে ছেঙ্গারচর বাজার ও পরে নতুন বাজার, আমিরাবাদ বাজারসহ কয়েকটি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। এসময় অসাধু ব্যবসায়ীরা করোনা ভাইরাস মহামারী দেখা দেওয়ার সুযোগে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে দেখলে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়। গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে চাউল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুনসহ খাদ্যদ্রব্য অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ওসি মো. নাসির উদ্দিন মৃধা করোনা ভাইরাস সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন। এছাড়াও করোনা ভাইরাস গুজব ছড়িয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের দাম যাতে বৃদ্ধি না করা হয় সে বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়।
এদিকে অনৈতিকভাবে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধে মতলব দক্ষিণ উপজেলার তিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
২০ মার্চ সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা হক ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই দন্ড দেন।
জানা যায়, অনৈতিকভাবে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধে উপজেলার নারায়নপুর ও নায়েরগাঁ দক্ষিণ বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী তিনজন ব্যবসায়ীকে মোট ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় তাদেরকে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা হক বলেন, পণ্যের দাম বেশি রাখছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেন, কিন্তু ওই সকল ক্রেতা পণ্য ক্রয়ের রশিদ রাখেন না। পণ্য ক্রয়ের রশিদ নিলে দাম বেশি রাখলে ব্যবস্থা গ্রহণে সুবিধা হয়।
স্টাফ করেসপন্ডেট,২১ মার্চ ২০২০