চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় বাড়ছে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিএইচসিপি (স্বাস্থ্যকর্মী) আফরোজা আক্তার ও তার স্বামী জসিম উদ্দিন এবং চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মতলব উত্তর উপজেলা জোনাল অফিসের এজিএম আব্দুল্লা আল মামুনসহ নতুন করে আরও ৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন।
আক্রান্ত রুহিতারপাড় কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি আফরোজা আক্তার ও তার স্বামী জসিম উদ্দিনের বাড়ি ছেংগারচর পৌরসভার রুহিতারপাড় গ্রাম।
৪ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর টাইমসকে তথ্য নিশ্চিত করেন মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.নুশরাত জাহান মিথেন। নতুন ৩ জন নিয়ে মতলব উত্তর উপজেলায় ১৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে আক্রান্ত এ তিন জনের নুমনা সংগ্রহ করা হয় ২ জুন। তাদের জ্বর,সর্দি,কাশি (করোনা উপসর্গ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে নমুনা দেওয়ার জন্য। ওই দিনই তাদের নমুনা সংগ্রহ কর ঢাকায় পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তাদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মতলব উত্তর উপজেলা জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী ছাদেক মিয়া জানান, আমাদের সহকর্মী এজিএম আব্দুল্লাহ আল মামুন বর্তামানে ভালো আছে। তার জ্বর ও,স্বর্দি, ও শুকনো কাশি দেখা দিলে তাকে পরামর্শ দেওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নমুনা দিয়ে আসার জন্য। সে মোতাবেক তিনি গত ২ জুন নমুনা দিয়ে আসেন। ওই রির্পোট আজকে তার করোনা পজেটিভ আসে। আমাদের সার্বক্ষনিক ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে হয়।
বিভিন্ন জায়গায় ও বিভিন্ন লোকজনদের কাজের জন্য যেতে হয়। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নেও জনগনের সেবার বিষয়টি মাথায় নিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়। করোনায় পজেটিভ আসা এজিএম আব্দাল্লাহ-আল মামুনকে নমুনা দিয়ে আসার পর থেকেই তিনি নিজ বাসায় আইসলোশানে আছেন। তার সাথে আমাদের সার্বক্ষানিক যোগাযোগ রয়েছে। অফিসের যেসকল কর্মকর্তাদের সংস্পর্শে এসেছে তাদেরও নমুনা দেওয়া হবে।
অপরদিকে করোনায় পজেটিভ রির্পোাট আসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিএইচসিপি আফরোজা আক্তার ও তার স্বামী জসিম উদ্দিন দম্পতি করোনায় আক্রান্ত সর্ম্পকে জানা যায়, স্বাস্থ্যকর্মী (সিএইচসিপি) আফরোজা আক্তারের স্বামী জসিম উদ্দিন ঢাকার গাজিপুরের একটি প্রাইভেট কোম্পানির সিরামিক কোম্পানিতে চাকুরী করেন। তার স্বামী জসিম উদ্দিন বাড়িতে এসেছে গত ২৬ এপ্রিল।
এরপর মাঝে সে আবার ঢাকায় তার অফিসে গিয়েছিলো। সেখানে ৭ দিন থেকে আবার পূনরায় বাড়িতে আসে। গত কয়েক দিন আগে (সিএইচসিপির) স্বামীর জ্বর,সর্দি ও শুকনো কাশি হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে গত ২ জুন তার নমুনা দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মতলব উত্তর থানা সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত ৩ জন নিজ বাসায় আইসোলেশন ও লকডাউনে থাকবে। এ অবস্থায় কেউ বাড়ীর বাহিরে যাবেনা এবং কেউ প্রবেশ করবেনা। ১৪ দিন পর তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে এবং তাদের খাবারসহ যা প্রয়োজন প্রশাসন থেকে এবং এলাকার জনপ্রতিনিধিরা ব্যবস্থা করা হবে।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুশরাত জাহান মিথেন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, মতলব উত্তর উপজেলায় এ পর্যন্ত ১৫ জন করোনায় আক্রান্তের এসেছে। এর মধ্যে ১১ জন মতলব উত্তর উপজেলায় ও ৪ জন অন্যান্য জেলা থেকে আক্রান্ত হয়ে এসেছেন। এদের মধ্যে ইতিমধ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ জন।
প্রতিবেদক:কামাল হোসেন খান,৪ জুন ২০২০