চাঁদপুর লঞ্চঘাটে ভাসমান নৌকায় পচা ইলিশ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান ও মারুফা সুলতানা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
এসময় বিক্রেতাদের কাছ থেকে প্রায় ৫০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।
গত ১২ সেপ্টেম্বর ‘লঞ্চঘাটে ভাসমান ইলিশ : ক্ষুন্ন হচ্ছে ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরের সুনাম’ এ শিরোনামে চাঁদপুর টাইমসে ভিডিওসহ প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ মাহমুদ জামান জানান, চাঁদপুর লঞ্চঘাটে ভাসমান পঁচা ইলিশ বিক্রি করে মানুষকে প্রতারিত করছে কিছু লোক। বিশেষ করে অন্যান্য জেলার মানুষজন এই পঁচা মাছ কিনে প্রতারিত হচ্ছেন বলে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এতে চাঁদপুর জেলার বদনাম হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পত্র পত্রিকায় সংবাদও ছাপা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে লঞ্চঘাটে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৫০ কেজি পচা ইলিশ জব্দ করা হয়। এসময় বিক্রেতাদেরকে সর্বোচ্চ সতর্ক করা হয় যাতে এমনটি আর না হয়।
এদিকে জব্দকৃত পঁচা ইলিশ মাছ ম্যাজিস্ট্রেটদের উপস্থিতিতে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। এসময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী ও সাধারণ সম্পাদক মির্জা জাকির উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরে নৌ-টার্মিনাল এলাকায় মেঘনা নদীতে ভাসমান ইলিশের হাটে প্রতারিত হয়ে আসছেন ক্রেতারা। এতে সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে ব্র্যান্ডিং জেলা ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরের।
এক শ্রেণির ভ্রাম্যমাণ মাছ বিক্রেতা ইলিশের হাট বসিয়ে ক্রেতাদের পকেট কাটছেন। তারা চাঁদপুরের ইলিশের নামে সাগরের ইলিশ বিক্রি এবং তাজা ইলিশের সাথে পঁচা মাছ মিশিয়ে ক্রেতাদের প্রতারিত করে আসছে।
প্রতিদিন ডজনখানেক নৌকা মেঘনা নদীতে একসাথে জড়ো করে ভাসমান ইলিশের অবৈধ হাট বসানো হয়। ঢাকা থেকে চাঁদপুর এবং বরিশালগামী লঞ্চের যাত্রীরা এ হাটের ক্রেতা। তাজা এবং মেঘনার ইলিশ মনে করে চড়া দামে ইলিশ কিনে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতা সাধারণ।
এ সংক্রান্ত আগের প্রতিবেদন- লঞ্চঘাটে ভাসমান ইলিশ : ক্ষুন্ন হচ্ছে ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরের সুনাম
প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮