মতলব উত্তরে হাতি দিয়ে চাঁদা আদায়, ব্যবসায়ী ও পথচারীরা অতিষ্ঠ

চাঁদপুরের মতলব উত্তরের বিভিন্ন হাটবাজারে হাতি দিয়ে ধোঁকাবাজির মাধ্যমে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ ধরে হাতির মাহুত শাকিল হোসেন নামে ধোঁকাবাজ হাতির খাবারের কথা বলে ব্যবসায়ী,জনসাধারণ ও পথচারীদের কাছ থেকে ১০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছেন। বাদ যাচ্ছেন না ছোট আকারের অটোবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনও। পথিমধ্যে গাড়ি ধামিয়ে যানবাহন থেকেও ১০ টাকা করে আদায় করছেন। তাছাড়া আবার শিশুদেরকে হাতির পিঠে চড়িয়ে নিচ্ছেন ৫০ টাকা করে। তবে হাতি এক নজর দেখার জন্য শিশু থেকে শুরু করে উৎশুক জনতাও রাস্তায় বেড়িয়ে আসছেন।

শুক্রবার (৪ মার্চ)সকালে উপজেলার ছেংগারচর বাজারে প্রতি দোকানে দোকানে গিয়ে হাতিকে দিয়ে চাঁদা তুলতে দেখা যায়।

গত সাত দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে চাঁদা তুলছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ী ও পথচারীরা।

ছেংগারচর বাজারের ব্যবসায়ী সোহেল রানা বলেন, ‘হাতির জ্বালায় আমরা অতিষ্ঠ। চাঁদা না দিলে নানাভাবে আমাদের বিরক্ত করছে। তাই ভয়ে চাঁদা দিচ্ছি। সকাল বেলা দোকাল খুলে বসতে বসতেই হাতি নিয়ে আমার দোকানে হাজির। আমি প্রথমে টাকা দিচ্ছিলামনা। টাকা না দেওয়ায় হাতি আমায় ছাড়ছেনা তাই বাধ্য হয়ে টাকা দিয়েছি। এটা কোনো ধরনের প্রতারণা।

ওই বাজারের চা দোকানদার নজরুল ঢালী বলেন, ‘সকালে কেবল দোকান খুলে বসছি। ঠিক তখনই হাতি এসে দোকানের সামনে হাজির। টাকা নেই বলার পরও হাতি যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে চাঁদা দিয়েছি।

এর আগে ৩রা মার্চ বৃহস্পতিবার ইসলামিয়া মার্কেট (নতুন) বাজারেরও হাতি দিয়ে চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনকমভাবে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারগুলোতে হাতি দিয়ে অভিনব কায়দায় হাতি দিয়ে ১০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। ফল ব্যবসায়ী মোস্তফা বলেন, ‘শুক্রবার সকালে মুই দোকান খুলি এক টাকাও বেচপার পাও নাই। কিন্তুক হাতি আসি হাজির। আমার ফলের দোকানের ফলগুলোর উপরে হাতি হাতির স্রোত উচিয়ে রেখেছে। তাই বাধ্য হয়েই চাঁদা দিতে হয়ছে।

হাতির মাহুত শাকিল হোসেন বলেন, ‘আমিতো চুরি করছি না। হাটবাজার, রাস্তাঘাটে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মানুষকে হাতি দেখিয়ে খুশি করে হাতির খাবারের জন্য টাকা নিচ্ছি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাজাহান কামাল বলেন, ‘হাতি দিয়ে চাঁদা আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। এটা একটা ধোঁকাবাজি ও প্রতারণার শামিল। এ রকম ঘটনা আমাকে কেউ জানায়নি। তবে আমি বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। আমরা খোঁজ নিচ্ছি সে যাতে হাতি দিয়ে চাঁদা আদায় করতে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক

Share