চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে হুইল চেয়ার ও এ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের মাসিক সভায় শিক্ষা অধিদপ্তরের সহযোগীতায় রোববার সকালে উপজেলা পরিষদের মায়া বীরবিক্রম অডিটোরিয়ামে ৫টি হুইল চেয়ার, ২৫টি চশমা ও এ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও অনুষষ্ঠানে উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়। উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক মাহমুদা আক্তার লাভলী, ও শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক ৯নং দক্ষিণ ব্যাসদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জেসমিন আক্তার, শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক শ্যামল কুমার বাড়ৈ এবং উপজেলার ৯নং দক্ষিণ ব্যাসদী মডেল সপ্রাবি উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হওয়ায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠানকে সনদ প্রদান করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএম জহিরুল হায়াতের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজ মিয়ার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন খান সুফল।
প্রধান অতিথি এমএ কুদ্দুস বলেন,অটিজম শিশুরা সমাজের বোঝা নয়। বোঝা তো তারা যাদের কোনও প্রতিবন্ধকতা নেই। আমরা যাদের স্বাভাবিক মানুষ বলি। আমরা নানারকম নেতিবাচক কাজে জড়িত। আমরাই তো সমাজের বোঝা।
তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু কোনো না কোনো প্রতিভার অধিকারী। আমাদের একটু মনোযোগ আর সহায়তা পেলে তারাও নিজেদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারবে। আমাদের প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকতে হবে। বিশেষ করে এই শিশুদের শিক্ষকদের তাদের ব্যাপারে আন্তরিক থাকতে হবে।
ইউএনও এএম জহিরুল হায়াত বলেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের মূলশ্রোতে আনতে সরকার কাজ করছে। এজন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সুবিধা দিয়ে বিদ্যালয়ের ভবন নির্মানসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করছে।
আরো বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা অলিউল্ল্যা ও প্রধান শিক্ষক মাহমুদা আক্তার লাভলী। এ সময় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক- শিক্ষিকাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদক: কামাল হোসেন খান