ঘূর্ণিঝড় রেমালে সারা দেশে লন্ডভন্ড হয়ে গছে। মতলব উত্তরও এর প্রভাব পরেছে। চাঁদপুর ছিল ৯ নাম্বার মহা বিপদ সংকেত। ২৬ মে রবিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছে ঘুর্নিঝড় রেমালের তান্ডব। ২৭ মে সোমবার রাত ৯ টার দিকে পুরো শক্তি নিয়ে মতলব উত্তরে আঘাত আনতে শুরু করে। এই আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থান। বিশেষ করে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয় নদী উপকূলীয় এলাকায়। মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়নের দশানী এলাকায় মেঘনা নদীর প্রবোল জলোচ্ছ্বাসে ও বাতাসে ভেঙে যায় বাবুল সরকারের ঘরবাড়ি ও দোকান। নদীতে বিলীন হয়ে গেছে তার ঘর ও দোকান। খোলা আকাশের নিছে বসবাস করছে তার পরিবার। এতে নিশ্ব: হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে তার পরিবার।
ঘুর্নিঝড় রামেলের ক্ষতিগ্রস্ত বাবুল সরকার জানান, আমার বাড়ি ঘর একবার নদীতে ভেঙে নিয়েছে। তারপর আবার এখানে বাড়ি করেছি। গত সোমবার রাত ৯ টার দিকে প্রবল বাতাস ও জলোচ্ছ্বাসে আবারও নদী ভেঙে নিয়ে গেছে দোকান ও ঘর। ঘরে ও দোকানে থাকা সকল মালামাল সকল কিছুই বিলীন হয়ে গেছে। কোন রকমে দৌড়ে প্রাণে রক্ষা পেয়েছি। আমার ৭/৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমি এখন নিঃস্ব। খোলা আকাশের নিছে বসবাস করছি। এখন সরকারের কাছে আমার দাবী, আমাকে যেন কিছু ক্ষতিপূরন দেয়।
স্থানীয় সোহরাব সরকার জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালে বাবুল সরকারের ঘরবাড়ি দোকান, পায়েল সরকার, রাজিব, লিয়াকত আলী, আব্দুর রহমান ও নূর উদ্দিনের দোকান নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তারা এখন অসহায়। তাদের বিকল্প কোন কর্মসংস্থান নেই। এছাড়াও আল্লাহর দানসহ ৪টি বালু জাহাজ, বিভিন্ন বসতবাড়ি, দোকানপাট, গাছপালা, কৃষি ফসল, পুকুরের মাছসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ২৮ মে ২০২৪