চাঁদপুরে মতলবে উত্তরের ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পশ্চিম সুজাতপুর গ্রামে মা ও মেয়েকে এসিড নিক্ষেপের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্বজনসহ এলাকাবাসী। ৩ মার্চ রবিবার সকালে ঢাকা -চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের মতলব উত্তর উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে মমরুজকান্দি সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ও এলাকার হাজার হাজার নারী পুরুষসহ বিভিন্ন স্থরের লোকজন অংশ গ্রহণ করে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধু মিলি আক্তারের উপর এসিড নিক্ষেপ কারীদেরফাঁসির দাবী জানান।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- এসিড দগ্ধ রাশেদা বেগমের মেয়ে ও এসিড দগ্ধ মিলি আক্তারের বোন শারমিন আক্তার, এসিড দগ্ধ মিলি আক্তারের আত্মীয় আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া, তার খালাতো বোন গোলাপী বেগম,স্বজন সাকিব, প্রতিবেশী মোসাম্মদ বেগম, সাংবাদিক গোলাম নবী খোকন, সাংবাদিকসাইফুল ইসলাম,এলাকাবাসী কাজী তামজিদ প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মা রাশেদা বেগম ও অন্ত:সত্ত্বা মেয়ে মিলিকে যারা এসিড নিক্ষেপ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সমাজে এ ধরনের কাজ করতে আর কেউ সাহস পাবেনা। এজন্য তারা প্রশশাসনসহ সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য গত (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টায় উপজেলার পশ্চিম সুজাতপুর গ্রামে মা রাশেদা বেগম (৫৫) ও মেয়ে অন্ত:সত্ত্বা মেয়ে মিলি আক্তার (২০)কে এসিড নিক্ষেপ করে দৃর্বত্তরা। এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানা পুলিশ ঐদিন রাতেই মমরুজকান্দি গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে সফিকুল ইসলাম মানিক নামে একজনকে আটক করেছে।
এসিড দগ্ধ রাশেদা বেগম ও মিলি আক্তার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।চিকিৎসকাধীন রয়েছে।
এসিড দগ্ধ মিলি আক্তারের পিতা আইয়ুব আলী বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি শবেবরাতের রাতে আমি মসজিদে নামাজ পড়তে যাই। এরমধ্যে খবর পাই পার্শ্ববর্তি মমরুজকান্দি গ্রামের আলী আহম্মদের ছেলে মোঃ মানিক (৩২) আমাদের বাড়িতে এসে আমার স্ত্রী ও আমার মেয়েকে ডাক দিলে দরজা খোলার সাথে সাথে বোতল থেকে এসিড মারে। এতে আমার মেয়ে ৮ মাসের অন্ত:সত্ত্বা মেয়ে মিলি আক্তার (২০) ও স্ত্রী রাশিদা বেগমের শরীরে বিভিন্ন াংশ ঝলসে যায়। আমার অন্ত:সত্ত্বা মেয়ে মিলি আক্তার মৃত্যুও সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমি এদের ফাঁসি চাই।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, এসিড ছুঁড়ে মারার বিষয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলার এজাহারভূক্ত সফিকুল ইসলাম মানিককে আটক করা হয়েছে। আরেক আসামী ইসলামাবাদ গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে বাদল (২৫)কে আটকের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত থাকলে তাকেও আটক করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ৩ মার্চ ২০২৪