উপজেলা সংবাদ

মতলব উত্তরে মরা গরুর মাংস বিক্রি : বেঁচে গেল কসাই হেলাল

মতলব উত্তর উপজেলার সুজাতপুর বাজারে মরা গরুর মাংস বিক্রি করার দায়ে কসাই শ্রমিক বাবুল সরকার (২৮)কে ভ্রাম্যমান আদালতে ৬ মাসের বিনাশ্রম করাদন্ড দিয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রট মো. নাছির উদ্দিন সরোয়ার।

মরা গরুর ১ মণ মাংস, গরুর চামড়াসহ বৃহস্পতিবার বাবুলকে আটক করা হয়। আটককৃত কসাই শ্রমিক বাবুল উপজেলার পশ্চিম ইসলামাবাদ গ্রামের মৃত. আবুল হোসেন সরকারের ছেলে।

সুজাতপুর বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক মো. বিলাল হোসেন বেপারী বলেন, আমি ওইদিন (বৃহস্পতিবার) বাজারে ছিলাম না। আমি বাজারে থাকলে এধরনের ঘটনা ঘটতো না। এর আগেও হেলালকে একাধিকবার হুঁসিয়ার করা হয়েছে। অপরাধী হলে তার বিচার হওয়া উচিৎ। এধরনের অপরাধ আমরা কখনোই কামনা করিনা।

এদিকে মরা গরুর মাংস বিক্রি করায় সুজাতপুর বাজারে গত ৩ দিন যাবৎ বেশ উত্তেজনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আসল অপরাধী হেলাল বেঁচে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই বলেন, কসাই হেলালকে ধরে জেল দেওয়া উচিৎ ছিল। সেই আসল অপরাধী। বাবুল তো ওর (হেলালের) দোকানের কর্মচারী মাত্র। গাঁজা খোর হেলাল কসাই এর আগেও একাধিকবার এধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। বাজার কমিটি কর্তৃক একাধিকবার তাকে হুঁশিয়ার করা হয়েছে। সে হুঁশিয়ারি অমান্য করে পুণরায় গত বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) মরা গরুর মাংস বিক্রি করা চেষ্টা করেছে।

এলাকাবাসী আরো জানায়, হেলাল বহুদিন যাবৎ কসাই ব্যবসা করে আসছে। এ কাজে জড়িত হয়েই সে গাঁজা ও মাদক ব্যবসায় জড়িত হয়েছে। সন্ধা হলেই নিজ বাড়ি পশ্চিম ইসলামাবাদ গ্রামের তালুকদার বাড়িতে বসে মাদকের হাট। এতে ধ্বংসের মুখে যুব সমাজ। মাদকসেবী, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বেপরোয়া চলাফেরায় অতিষ্ট স্থানীয় এলাকার লোকজন।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রট মো. নাছির উদ্দিন সরোয়ার বলেন, জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দায়িত্ব প্রশাসনেরই। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে কসাই হেলাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।

|| আপডেট: ০৮:২০ অপরাহ্ন, ০৫ মার্চ ২০১৬, শনিবার

এমআরআর

Share