Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব উত্তর / মতলব উত্তরে ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরীর মরদেহ উদ্ধার
ব্যাংকের

মতলব উত্তরে ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরীর মরদেহ উদ্ধার

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরীর (সিকিউরিটি গার্ড) শাহাদত (২৪) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে মতলব উত্তর থানা পুলিশ। সে উপজেলার গজরা ইউনিয়নের গ্রামের আব্দুস সামাদের একমাত্র ছেলে। নিহত নিরাপত্তা প্রহরীর (সিকিউরিটি গার্ড) শাহাদাত তারা এক ভাই ও বোন।

এদিকে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এছাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল চৌধুরী ও মতলভ উত্তর থানার ওসি মুহাম্মদ শহীদ হোসেন।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার মতলব উত্তর উপজেলার গজরা বাজারের কৃষি ব্যাংক শাখয় এ ঘটনা ঘটেছে।
সরজমিনে জানা যায়, উপজেলার গজরা বাজারে কৃষি ব্যাংক শাখার সিকিউরিটি গার্ড শাহাদাতের লাশ ব্যাংক ভবনের ছাদে খুটির সাথে বেধে রেখেছে। পরে থানা পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল করে এবং ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে।

ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়া হলেও ব্যাংকের কোন কিছু খোয়া যায়নি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কৃষি ব্যাংকের ডিজিএম মমতাজ উদ্দিন। তাদের ব্যাংকের প্রধান ফটকের তালা অক্ষত রয়েছে। তবে তারা কিভাবে ব্যাংকে ঢুকেছে এ বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে,তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। আপনারা জানতে পারবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যাংকের স্টাফ জানান,সকালে আমরা তালা খুলে ব্যাংকের ভিতরে প্রবেশ করে নিরাপত্তা প্রহরীকে না পেয়ে খুজাখুজি করার পরে ব্যাংকের ছাদের উপরে একটি পিলারে হাত বাধা অবস্থায় তার লাশ দেখতে পাই। তার বিষয়টি আমাদের উর্ধতন কর্মকতাসহ থানা পুলিশকে অবহিত তরা হয়। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে।

এদিকে নিহত শাহাদাতের মা জানান, আমার ছেলে আমার ছেলে শাহাদাত কৃষি ব্যাংকে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করতো। অন্যান্য দিনের মতো শনিবার রাতেও ডিউটি করতে এসেছে। সকালে ভোরে প্রতিদিন গেলেও রবিবার ভোরে ছেলে বাসায় না যাওয়ায় তাকে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই সন্দেহ হয়। পরে ব্যাংকে এসে দেখি তালা। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ-খুজি করে ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে জানতে পারলাম ব্যাংক ভবনের ছাদে বিদুৎের খুটির সাথে তার দিয়ে বেধে রেখে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।

নিহত সিকিউরিটি গার্ড শাহাদাতের বাবা আঃ সামাদ বলেন,আমি আজকে সকালে তালতলী কাজে গেছি। তার পর আমি শুনি আমার একমাত্র ছেলেকে ব্যাংকে মেরে ফেলেছে। আমি আমার ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক সাস্তি চাই।

নিহত শাহাদাতের ছোট বোন ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া সাথী (১৪) বলেন, আমরা এক ভাই ও এক বোন। আমার ভাই উপজেলার গজরা বাজারের কৃষি ব্যাংক শাখয় সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে ঠিকমতো ডিইটি করতো। গতকাল রাতে আমার ভাই ডিউটি করতে গেছে। যাওয়ার পর আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।

মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ শহিদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্তলে আসে লাশ উদ্ধার করি। লাশের গলায় (রশির দাগ) আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছি। এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলচে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।

এদিকে এ ঘটনার পর চঁাদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি এসময় সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি একটি হত্যা কান্ড। খুব দ্রুত সময়েই দোষীদের বের করে আইনের আওতায় এনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক,২৫ ফেব্রুযারি ২০২৪