মতলব উত্তরে বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই, আহত ৪

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ১০ নং ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড সানাতের কান্দি গ্রামের মরহুম খলিল কাজীর ছেলে প্রবাসী হাসান কাজীর বসত ঘরসহ ঘরের আসবাবপত্র সম্পূর্ণ পুড়ে ভস্মীভূত হয়।

আগুন নিভাতে গিয়ে ৪ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন- মোঃ রাকিবুল হাসান (৪০), শাজাহান (৪২), আশ্রাফুল (৩৫) ও সিফাত মোল্লা। আহত রাকিবুল হাসানকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

২২ মে রোববার সকাল ১১ টার দিকে বিদ্যুৎ সর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানায়।

ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীর স্ত্রী ফারজানা বেগম জানান, সকাল আনুমানিক ১১ টার দিকে বিদ্যুৎ সর্টসার্কিট থেকে আগুন দেখতে পেয়ে প্রবাসীর স্ত্রী ফারজানা বেগম ও তার মা আকলিমা বেগমের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে আসে। অনেক চেষ্টার পর তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনকে সক্ষম হন। মতলব ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনা স্থলে আসার পূর্বেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে স্থানীয় জনসাধারণ। ততোক্ষণে তাদের বসত ঘর ও ঘরের আসবাপত্র সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

জানা যায়,ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আসলে ও বাড়ির ভিতর আসা যাওয়ার রাস্তা না থাকার কারণ ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার সুযোগ হয় নাই, বলে জানান মতলব দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিসের সমন্বয়ক আসাদুজ্জামান।

ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের মালিক মোঃ হাসানের মা বলেন, এ অগিন্কাডে আমরা সর্বশান্ত হয়ে পড়েছি। আমরা সদস্য সংখ্যা ৫ জন। আমার ছেলে দুই মাস পূর্বে অনেক ধারদেনা করে বিদেশে গেছে, আমার ১ টা নাতি আর ১ টা নাতনি ছোট ছোট।

সংসারে আয় করার আর কোন লোক নাই,আমার ছেলের ধারদেনা শেষ করব, না ঘর তৈরী করব, এখন আর কোন পথ খুঁজে পাই না।

সরকারের তরফ থেকে এবং আপনারা যদি আমাগো দিকে না তাকান তাহলে আমারা কোথায় যাব। সরকারের কাছে আমগো দাবি, দয়া করে আমগো পড়ে যাওয়া ঘরটি কইরা দেন, আর আমাগো কিছু সাহায্য সহযোগিতা কইরেন, এই কথা বলার পর বার অজ্ঞান হয়ে যান।

এদিকে অগ্নিকান্ডের সংবাদ পাওয়ার পর পরেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আজমল হোসেন চৌধুরী।

এসময় ইউপি চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তার পক্ষ থেকে এবং সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। এ অগ্নিকান্ডের বিষয়টি তিনি মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তি যোদ্ধা এমএ কুদ্দুস ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরীফুল হাসানকে অবহিত করেন। আজমল হোসেন চৌধুরী, এ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বসত ঘর নির্মানের জন্য, উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় ফতেপুর পূর্ব ইউপি’র সচিব দেওয়ান আব্দুল ওহাব, ইউপি সদস্য কাজী মোস্তাক, দুলাল মুন্সি ও মহর আলী।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ২২ মে ২০২২

Share