মতলব উত্তর

মতলব উত্তরে পুলিশদের হাত পা বেঁধে দুর্ধর্ষ ডাকাতি : আতংকে মানুষ

একই দিনে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কালিপুর ও কালিরবাজারে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।বুধবার রাত ৩টার সময় ষাটনল ইউনিয়নের কালিপুর বাজারের ৪ টি স্বর্নের দোকানে এবং বাগাননবাড়ি ইউনিয়নের কালির বাজারে একই রাত ২ টার সময় ৩টি স্বর্ণের দোকানসহ ৫টি দোকানে বাজারের নাইটগার্ড ও টহলরত পুলিশদের হাত পা বেঁধে একটি দোকানের ভিতর আটকিয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল এই ডাকাতি চালায় বলে জানা যায়।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বুধবার আনুমানিক রাত তিনটার সময় মুখোশ পরিহিত ১৮ থেকে ২০ জন মুখোশধারী ডাকাত বাজারে প্রবেশ করে। প্রথমে ডাকাতের দল দাদা নাতি স্বর্ণ শিল্পালয়ের তালা কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। তারপর কালীপুর বাজারের পাহারাদার সহ দোকানদারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সব স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ লুট করে। সবাইকে দোকানে আটকে রেখে ডাকাতি চালিয়ে যায়।

যে চারটি স্বর্ণের দোকানে মালামাল লুট হযয়েছে তার মধ্যে ছিল মালিক পানু দেবনাথের মুক্তা স্বর্ণ শিল্পালয়ের ১৫ ভরি স্বর্ণ, রুপা ১১০ ভরি এবং নগদ এক লক্ষ টাকা, দলীপ দেবনাথ এর দাদা নাতি স্বর্ণ শিল্পালয়ের ৯৫ হাজার টাকা এবং ২ ভরি স্বর্ণ, ৩০ ভরি রুপা, স্বপন দেবনাথ এর সৌরভ স্বর্ণ শিল্পালয়ের ১০ ভরি স্বর্ণ,১০০ ভরি রূপা, প্রশান্ত দেবনাথ এর গিরিধারী স্বর্ণ শিল্পালয়ের ৫ ভরি স্বর্ণ, আড়াই লক্ষ টাকা এবং মূল্যবান কসমেটিক সহ অন্যান্য মালামাল লুট করে। এ বাজার থেকে মোট ৩২ ভরি স্বর্ণ, ২৪০ ভরি রুপা, নগদ ৪ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা এবং ১৪ হাজার টাকার প্রাইজবন্ড লুট হয়েছে।

অপরদিকে খালির বাজারে রাত আনুমানিক ২ টায় ৩ টি জুয়েলারী ১টি ঔষধ ও ১টি বিকাশ-ফ্লেক্সিলোডের দোকানসহ মোট ৫ টি দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে।

এসময় বাজারের নাইটগার্ড ও টহলরত পুলিশদের হাত পা বেঁধে একটি দোকানের ভিতর আটকিয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল এই ডাকাতি চালায় বলে জানা যায়। ইতিমধ্যে বুধবার সকালে ডিবি টিম, সিআইডি সেইসাথে পুলিশের বিশেষ টিম যারা আলামত পরীক্ষা- নিরীক্ষাকরছেন।

জানা যায়, ইতিমধ্যে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মাহাবুবুর রহমান, মতলব উত্তর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) শাহজাহান কামালসহ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এবং এই ঘটনায় চট্রগ্রাম বিভাগের পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করেন।

বাগানবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব নান্নু মিয়া জানান, ১৫ দিন পূর্বে তার এলাকা থেকে কয়েক ধাপে একশ গরু চুরি হয়েছে। তার কোন সুরাহা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরই মাঝে গত রাতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মানুষ আতংকের মধ্যে আছে। পুলিশের কর্মতৎপরতা চোখে পড়ার মতো তবে এলাকার জনগণ ও আমরা সবই প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হোক, এটা চাই।

এদিকে বাজার কমিটির সভাপতি আব্দুর রকমান বকাউল ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ এ ঘটনার সুষ্ঠ সমাধান চান ও ব্যবসায়ীদের পুঁজি হারিয়ে যাতে পথে বসতে না হয়, তার স্থায়ী সমাধান চান কারণ এর পূর্বেও এই বাজারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তাই জনগণ ও স্থানীয় প্রতিতনিধিরা অত্র কালিরবাজারে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করার আবে এদিকে একই দিনে উপজেলার কালির বাজার ও কালিপুর বাজারে দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় ব্যবসায়ী ও উপজেলার অন্যান্য বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ চরম আতংক ও দুশ্চিন্তার মধ্যে আছে।

খান মোহাম্মদ কামাল

Share