Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব উত্তর / মতলব উত্তরে দুই বেয়াই পেলেন নৌকার টিকিট
নৌকার

মতলব উত্তরে দুই বেয়াই পেলেন নৌকার টিকিট

চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামী ২৮ নভেম্বর। সকল জল্পন কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নৌকার মাঝি হলেন মতলব উত্তরে বর্তমান চেয়ারম্যান ৭জন, নতুন মুখ রয়েছেন ৭ জন। আর এ নৌকা প্রতীক পাওয়া ১৪ প্রার্থীর মধ্যে কলাকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কাদের মোল্লা, ও একলাছপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পাওয়া এখলাশপুর ইউনিয়নে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক চাঁদপুর জজ কোর্টের এপিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন তারা সম্পর্কে আপন বেয়াই।

২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরের পর সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটে। এতে নৌকার টিকিট পান মতলব উত্তরের দুই বেয়াই দুই ইউনিয়নে। এতে তারা চমক হিসেবে দেখছেন না। তারা উভয়ই দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা। তারা বলেন,দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করছি। দলের মানুষের জন্য কাজ করছি। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন, বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা বুকে ধারণ করে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে আসছি। নিজ ইউনিয়নের কোনো মানুষ বিপদে পড়লেই সবার আগে ছুটে যাই। আমরা বঙ্গবন্ধুর আর্দশের ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৈনিক। এবার এলাকার মানুষ চেয়েছে আমাকে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে। দল আমার আমার রাজনৈতিক কার্যক্রম বিবেচনা করে তৃণমুল আ’লীগকে মুল্যায়ন করে আমাদের দুই বেয়াইদেরকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। এর জন্য আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নির্বাচনের মনোনয়ন বোর্ডের সভার চট্রগ্রাম বিভাগের সদস্যদেরকে মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা ও এখলাছপুর ইউনয়নবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানান।

গোলাম কাদির মোল্লা আরও বলেন,আমি এ ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান। আমি বঙ্গবন্ধুর আর্দশের ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৈনিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। যত দিন বেচেঁ থাকবো দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করে যাবো।

গোলাম কাদির মোল্লা বলেন,আমি যখন চেয়ারম্যান ছিলাম সরকার ও দলীয় নির্দেশনা মেনে জনগনের পাশে ছিলাম, আজও আছি। আমি জনগনের চাহিদা মতো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। সেবায় নিয়োজিত আছি এবং থাকবো। সকলের দোয়ায় বিজয়ী হলে দলীয়ভাবে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে সমন্বয় করে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাবো। জনগনের সেবার দায়ে আমি স্থায়ী ভাবে নিজ বাড়ীতে বসবাস করছি।

আগামি ২৯ নভেম্বর নৌকা প্রতীক বিপুল ভোটের জয়ী হবো ইনশাআল্লাহ। ইনশাআল্লাহ বাবার মতো শেষ দম থাকা পর্যন্ত সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে জনগণের জন্য কাজ করে যাবো এবং বাবার দেখানো পথেই চলবো।

নিজস্ব প্রতিবেদক