মতলব উত্তর উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের চান্দ্রা কান্দি গ্রামে গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় ডাকাত সন্দেহে ঢাকার থ্রি এঙ্গেল মেরিন লিমিটেডের ৯ সিকিউরিটি গানম্যানকে আটক করে গণধোলাই দিয়েছে জনতা।
এ খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে আশ-পাশের গ্রাম থেকে জনতা জড়ো হয়ে তাদের উপর হামলা দেয়। ডাকাতের সংবাদ পেয়ে টহলরত পুলিশ এসআই মিজানুর রহমান সরকার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছলে তিনিও হামলার শিকার হন।
পুলিশের বাধা ডিঙিয়ে উত্তেজিত জনতা আটককৃতদের বেধম মারপিট করে।
পরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কবির হোসেন আরো ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে ঘটনা নিয়ন্ত্রনে আনেন ও আটকৃতদের উদ্ধার করেন । আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং কর্মরত চিকিৎসক গুরুতর আহত ২ জনকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বাকী ৭ জনকে চিকিৎসার পর থানা হেফাজতে রাখা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান জানান, থ্রি এঙ্গেল মেরিন লিমিটেডের দুটি ট্রলার ভর্তি মাল নিয়ে দাঊদকান্দি ডগইয়ার্ড থেকে গজারিয়ার নয়ানগর ডগইয়াডের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের বেলতলী নামকস্থানে পৌছে একটি ট্রলার যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। পরে দুটি ট্রলারই ধনাগোদা নদীতে নোঙর করে ওই কোম্পানীর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জি. শহিদুল ইসলামকে ফোন করেন। তিনি সেখান থেকে আরেকটি ট্রলার যোগে ওই দুটি ট্রলারকে উদ্ধার করে নিতে ১০জন কর্মচারীকে পাঠান। চান্দ্রাকান্দি গ্রাম বরাবর আসলে তারা পথ ভুল করে চান্দু বেপারীর বাড়ির কিনারায় ট্রলারটি পৌছলে ডাকাত পাহারাদার দলের সন্দেহ হলে ডাকাত বলে চিৎকার দিলে আশপাশের জনতা এসে তাদের আটক করে বেধম প্রহার করে।”
তিনি আইন হাতে না নিয়ে অপরাধীদের পুলিশে সোপর্দ করার জন্য জনগনের প্রতি আহ্বান জানান। অযথা কাউকে হয়রানি ও যত্রতত্র মসজিদের মাইক ব্যবহার না করতে পরামর্শ দেন।
থ্রি এঙ্গেল মেরিন লিমিটেডের ডিএমডি ইঞ্জি. শহিদুল ইসলাম বলেন, “ট্রলারটি ভুল পথে আসায় এ হামলার শিকার হয়েছে আমাদের কর্মচারীরা। এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত।”
আপডেট: ০১:০৫ অপরাহ্ণ, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার
চাঁদপুর টাইমস- কেএইচকে/ডিএইচ/২০১৫।