চাঁদপুর

ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশ প্রথম : ৯ বছরে বেড়েছে ৬৬ শতাংশ

চাঁদপুরে দুইদিন ব্যাপী ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কৌশল বিষয়ক জাতীয় কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। ১৮ শুক্রবার ও ১৯ শনিবার জানুয়ারী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, মৎস্য অধিদপ্তর- এর কর্মকর্তা, ইলিশ গবেষণার সাথে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গবেষক, জেলে ও মৎস্যজীবী সমিতির প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। ইউএসএআইডি-এর অর্থায়নে পরিচালিত ইকোফিশ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগিতায় বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য গবেষনা ইনস্টিটিউট এবং ওয়ার্ল্ডফিশ যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।

বড় সাইজের ইলিশ (ফাইল ছবি)

১৯ জানুয়ারি শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রমে ছিলো চলমান কর্মশালার উন্মুক্ত আলোচনা।

ইকোফিশ বাংলাদেশ প্রকল্পের টিম লিডার ড. আব্দুল ওহাবের পরিচালনায় এর পরিচালনায় ইলিশ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মেলকন ডিকসন, বিএইউ-এর প্রফেসর ডা. জোয়ারদার ফারুক, ইকোফিশ বাংলাদেশ প্রকল্পের মো. সহিদুল ইসলাম, বিএফআরআই-এর লেকচারার ডা. জি.সি আলদার, ইকোফিশ বাংলাদেশ প্রকল্পের ডা. এম জিল্লুর রহমান প্রমুখ।

কর্মশালায় ইলিশ গবেষকবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য খাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় একটি খ্যাত। মৎস্যচাষী ও মৎস্যজীবীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি সাধন, কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টিসহ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে মৎস্য খাতের ভূমিকা অপরিসীম।

বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের মৎস্যবান্ধব নীতি ও কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে দেশ এখন মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ইলিশ উৎপাদনে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম। ৯ বছরে দেশে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে ৬৬ শতাংশ। বক্তারা ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে গৃহীত কার্যক্রমের ফলাফল এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে প্রস্তাব করেন।

প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম
২০ জানুয়ারি, ২০১৯

Share