কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীন অনুষ্ঠিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় এইচএসসিতে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৩১ শতাংশ, অপরদিকে সমমান আলিম পরীক্ষায় পাসের ৭৫ শতাংশ। উপজেলায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৮৫.১৫ শতাংশ।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেল্ ানির্বাহী অফিসার মোঃ আশরাফুল আলমের কাছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাইয়ুম খান এ ফলাফল তুলে দেন। এসময় একাডেমিক সুপার ভাইজার মোঃ সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এবার উপজেলায় এইচএসসিতে জিপিএ-৫ রেকর্ড করেছে। এ বছর কুমিল্লা বোর্ডে অধীনে মতলব উত্তর উপজেলায় এইচএসসিতে ১০১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। আর সমমান আলিম পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। শতভাগ পাস করেছে ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজ,জীবগাঁও জেনারেল হক হাই এন্ড কলেজ, দি কার্টার একাডেমি নামে তিনটি কলেজ।
তার মধ্যে ছেংগারচর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪০ জন। নিশ্চিন্তপুর কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২ জন, নাউরী আর্দশ কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ জন,সুজাতপুর কলেজ থেকে ৬ জন,ধনাগোদা তালতরী হাইস্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৫ জন,কালিপুর হাইস্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৪ জন, শরীফ উল্লাহ হাইস্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২ জন,জীবগাঁও জেনারেল হক হাই এন্ড কলেজ থেকে ২জন, আলী আহম্মদ মিয়া বহুমুখি মহাবিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন এবং দি কার্টার একাডেমি থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাইয়ুম খান জানান, ২০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে মতলব উত্তর উপজেলার এ বার এইচএসসিতে ১২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ২ শত ৮১ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। তারমধ্যে ১ হাজার ২ শত ২১ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাশের হার ৯৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। অপরদিকে এইচএসসি সমমান আলিম পরীক্ষায় এ বছর অংশ গ্রহণকারী মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৫৯ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১১৯জন। পাশের হার ৭৫ শতাংশ।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কর্তৃক ফলাফলে জানাযায়,উপজেলার ছেংগারচর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩৫৮ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৫৮জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪০ জন। তারমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ২৯ জন,মানবিক শাখায় ৭জন আর বাণিজ্য শাখা থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। এ কলেজ থেকে বারিয়া আক্তার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ কলেজের পাশের হার শতভাগ।
নিশ্চিন্তপুর কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৯৪ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৮৬জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২ জন। পাশের হার ৯২.৭৮ শতাংশ।
সুজাতপুর কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮১ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭৯জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬জন। পাশের হার ৯৭.৭৫ শতাংশ।
নাউরী আর্দশ কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৮৮ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৮৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ জন। পাশের হার ৯৭.৩৪ শতাংশ।
মুন্সী আজিম উদ্দিন কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০০ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬৯জন। জিপিএ-৫ নেই। পাশের হার ৬৯ শতাংশ।
আলী আহম্মদ মিয়া বহুমুখি মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০০ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। পাশের হার ৯৭.৩৪ শতাংশ।
লুধুয়া হাইস্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭৬ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন। পাশের হার ৯৬.০৫ শতাংশ।
কালিপুর হাইস্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮৬ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭৯জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। পাশের হার ৯১.৮৬ শতাংশ।
শরীফ উল্লাহ হাইস্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩৪ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। পাশের হার ৯৭.০৮ শতাংশ।
জীবগাঁও জেনারেল হক হাইস্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। পাশের হার শতভাগ ।
ধনাগোদা তালতলী হাইস্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩৬ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন। পাশের হার ৯৭.২২ শতাংশ। দি কার্টার একাডেমি থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২১ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২১জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। পাশের হার শতভাগ।
অপরদিকে আলিম পরীক্ষার ফলাফলে-
ফরাজীকান্দি ওয়েসীয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২১ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৬ জন। জিপিএ-৫ নেই। পাশের হার ৭৬ শতাংশ।
সাড়েপাঁচ অঅনী ফাজিল মাদ্রাসা থেকে আলিম-এ মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪১ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। পাশের হার ৭৫ শতাংশ।
নেদায়ে ইসলাম মহিলা ফাজিল মাদ্রাসা থেকে আলিমে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩০ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। পাশের হার ৭৬শতাংশ।
বদরপুর আদমিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩০জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। পাশের হার ৯৩ শতাংশ।
লবাইরকান্দি আলআমিন আলিম মাদ্রাসা থেকে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৯ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১২জন। জিপিএ-৫ নেই। পাশের হার ৬৩ শতাংশ।
হাসিমপুর সিদ্দিকীয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৮ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯ জন। জিপিএ-৫ নেই। পাশের হার ৫০শতাংশ।
প্রতিবেদক: খান মোহাম্মদ কামাল, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩