মতলব উত্তরে আগুনে পুড়লো জাহাঙ্গীরের ফলের দোকান

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ফলপট্টি মার্কেটের জাহাঙ্গীরের ফলের দোকানে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম।

তবে বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ী ও জনসাধারণ এর অসামান্য অবদান এবং ফয়ার সার্ভিস টিম দ্রুত চলে আসায় আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছে বিধায় ছেংগারচর বাজারে বড় ধরণের দূর্ঘটনার কবল থেকে পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাত ১০টা ৪০ মিনিটের সময় উপজেলার ছেংগারচর বাজার গরুর হাট সংলগ্ন ফলপট্টি মার্কেটে ফল ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের দোকানে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

এতে দোকানে থাকা বিভিন্ন ধনের ফল ও নগদ টাকাসহ মালামাল পুড়ে যায়। মতলব উত্তর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের লিডার মোঃ ইকবাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে এসআই আবু হানিফসহ মতলব উত্তর থানা পুলিশ।

দোকান মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, রাত ১০টার সময় প্রতিদিনের মতো আমি দোকান বন্ধু করে বাসায় যাই। রাত ১১ টার দিকে আগুন লাগার খবর পাই। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে দোকানের নগদ ১ লক্ষ ৬ ০ হাজার টাকা এবং ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার সমস্ত ফলসহ দোকানের মালামাল পুড়ে যায়। এতে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে আমার৷

আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি।’ কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,আমি এখন কি করবো,। আমি বিভিন্ন এনজিও ও ব্যাংক থেকে কিস্তি উঠিয়ে ব্যবসা করছি। এই অগ্নিকান্ডে আমি সর্বশান্ত ও নিঃস্ব হয়ে গেছে। একই সাথে আরো দুই জন ফল ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন ও বিল্লাল হোসেনের দোকানের ফলও পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। এতে তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

প্রত্যক্ষদর্শি সূত্রে জানাযায়,ফলের দোকানের পেছনে বাজারের মালি লিচুর পাতা ও বিভিন্ন বর্জ্য পুড়ানোর জন্য আগুন ধরায়। তা না নিভিয়ে সে চলে যায়। ওই বর্জ্য আগুন থেকে জাহাঙ্গীরের ফলের দোকানে আগুনের সূত্রপাত হয় ।

ফায়ার সার্ভিসের লিডার মোঃ ইকবাল হোসেন জানান, রাত পৌনে ১১ টার সময় খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় ৩০ মিনিট ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।

মোঃ ইকবাল হোসেন জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বা কয়েল থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার জাহাঙ্গীর দোকানে বিভিন্ন ধরনের খেজুর, আম,আপেল,মাল্টা, লিচু, নাশপাতি,আঙ্গুরসহ বিভিন্ন ধরনের ফল বিক্রি করতেন।

যে দোকানে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটনা ঘটেছে তার কাছে ছিলো বড় একটি বড় মার্কেট ও আবাসিক ভাড়াটিয়া। আগুন নিয়ন্ত্রনে না আনতে না পারলে বড় ধরণের দূর্ঘটনার কবলে পড়ার আশঙ্কা ছিলো। ফায়ার সার্ভিস সময় মতো ঘটনাস্থলে চলে আসায় আশপাশে দোকানগুলোতে এবং বাজারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যায়।

প্রতিবেদক: খান মোহাম্মদ কামাল,৯ জুন ২০২৩

Share