মতলব দক্ষিণ উপজেলার ১শ’১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪০টিতে নেই প্রধান শিক্ষক। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়েই চলছে ৪০টি বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। এতে করে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে ১শ’১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮৩টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রয়েছে ৪০ টিতে। এতে ৮ সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান ও দাপ্তরিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
৩-৪ বছর ধরে প্রধানশিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় প্রাথমিক শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। যে সকল বিদ্যালয় গুলোতে প্রধানশিক্ষক নেইএবং ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক দিয়ে চলছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-লাকশিবপুর,বকচর,নন্দীখোলা,কাচিয়ারা,আধারা,নায়েরগাঁ উত্তর,দৌলতপুর,চারটভাঙ্গা, নাটশাল,কাশিমপুর গোবিন্দপুর লেজাকান্দি দূর্গাও,পূর্ব ধলাইতলী,পূর্ব বাকরা,ঘোড়াধারী,দক্ষিণ বাইশপুর, চাপাতিয়া খান বাড়ি,পশ্চিম পিংড়া,পশ্চিম নাগদা,নাউজান,চরনিলক্ষ্মী, নলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মো.জুলফিকার আলী বলেন,‘জটিলতার কারণে সহকারী শিক্ষকরা প্রধানশিক্ষক পদে পদোন্নতি না পাওয়ায় এবং নতুন নিয়োগ না হওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানশিক্ষকের পদ শূন্য গুলোতে নিয়োগ দেয়ার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সম্প্রতি পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। ’
পূর্ব ধলাইতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুজ্জামান বলেন,‘তাঁর বিদ্যালয়ে ৪ বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের পদে লোক নেই। তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে আছেন। দাপ্তরিক কাজে বাহিরে গেলে তিনি ক্লাশ নিতে পারেন না। বর্তমানে ৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ১ জন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছে। তাই বিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদানে ব্যাহত হচ্ছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন,‘ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক হওয়ায় আমার কথা কেউ শোনেন ; আবার কেউ শোনেন না।’
বিশ্সপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে দেখা গেছে,বিদ্যালয়ে শিক্ষক ৩ জন। একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে আছেন। প্রতিদিন ২৪ টি ক্লাশ নিতে হয়। এতগুলো ক্লাস নিতে গিয়ে রীতিমত হাঁপিয়ে উঠেন তারা। ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক শিক্ষা অফিসের কোনো কাজে বাহিরে গেলে দু’জন শিক্ষক দিয়ে সব শ্রেণির ক্লাশ নিতে কষ্ট হয়। এ সময় শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা হইচই করে। এতে ব্যাহত হয় পাঠদান।’
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক নাছিমা আক্তার বলেন,‘৪ বছর ধরে প্রধানশিক্ষক সহ শিক্ষকের দু’টি পদ শূন্য ।এতে পাঠদান ও দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।’
প্রতিবেদক : মাহফুজ মল্লিক
আপডেট,বাংলাদেশ সময় ৮: ৪৫ পিএম,৯ আগস্ট ২০১৭,বুধবার
এজি