তীব্র গরম ও আবহাওয়া জনিত কারনে চাঁদপুর সহ পাশ্ববর্তী জেলা উপজেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। এতে শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সি নারী ও পুরুষরা ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
গত ১০দিনে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মতলব আইসিডিডিআরবিতে ১ হাজার ৪৩৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। গড়ে প্রতিদিন ১১০ জন ভর্তি হচ্ছে। যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।
আইসিডিডিআরবি, মতলব কার্যলায় সূত্রে জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৪৩৩ জন রোগী ভর্তি হয়।
তার মধ্যে পুরুষ ৭২২ ও নারী ৭১১ জন। ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে শূণ্য থেকে ৫ বছরের শিশু ৫৪ শতাংশ এবং ৬ থেকে ৭০/৮০ বছরের রোগী ৪৬ শতাংশ। গড়ে প্রতিদিন ১১০ জন ভর্তি হচ্ছে।
ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলা ৬৫ জন, বাকি ১ হাজার ৩৬৮ জন হচ্ছে চাঁদপুর, কুমিল্লা, ল²ীপুর, নোয়াখালী, শরিয়তপুর, সিলেট, লাকসাম, মুন্সীগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, গাজিপুর জেলা ও উপজেলার।
গত বছর (১০-২৩ এপ্রিল ২০১৭) একই সময়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ১ হাজার ৩৩৬ জন রোগী।
সরেজমিনে মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সবকয়টি ওয়ার্ড ও বহির্বিভাগে ডায়রিয়া রোগীদের ভিড়। ডাক্তার ও নার্সরা চিকিৎসা সেবা নিয়ে ব্যস্ত।
শরিয়তপুর থেকে আসা ৮ মাসের শিশু ছানহা ইসলামের মা সূরমা আক্তার বলেন, মেয়ের ঘন ঘন পাতলা পায়খানা ও বমি হওয়ার পর শনিবার (২১ এপ্রিল) এসেছি। এখন অনেকটা ভালো। হাজিগঞ্জের জিতেন্দ্র চন্দ্র রায় (৭৫) বলেন হটাৎ করে বমি ও একদিক বার পাতলা পায়খানা হলে মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি হই। ডাক্তারদের পরামর্শ্বে খাবার স্যালাইন ও অন্যান ঔষধ খাওয়ার পর সুস্থতাবোধ করছি।
মেডিকেল অফিসার ডাঃ এনামুল ইসলাম বলেন ডায়রিয়া রোগীদেরকে খাবার স্যালাইন ও অন্যান্য ঔষধ সরবরাহ এবং রোগীদের অতি যতœ সহকারে সেবা প্রদান করা হয়।
হাসপাতালে সিনিয়র চিকিৎসা কর্মকর্তা আল ফজল খান বলেন, হঠাৎ করে গত কয়েক দিনের প্রচন্ড গরমে ডায়রিয়া আক্রান্তের রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। দুষিত পানি পান, ময়লা, বাসি ও পচা খাবার খাওয়া এবং অসচেতনাই ডায়রিয়া আক্রান্তের প্রদান কারন।
এসব রোগীদের ক্ষেত্রে খাবার স্যালাইন খাওয়ানো এবং শরীরর বেশি দুর্বল হয়ে পড়লে দ্রæত নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিতে হবে।
প্রতিবেদক- মাহফুজ মল্লিক