Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব উত্তর / মতলবে ১২- ১৬ ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন, জনজীবন অতিষ্ঠ
বিদ্যুৎ

মতলবে ১২- ১৬ ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন, জনজীবন অতিষ্ঠ

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিংয়ের কারনে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। গড়ে প্রতিদিন ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১২ থেকে ১৬ ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হচ্ছে মতলববাসীকে।আর কতবার যে বিদ্যুৎ যায় আর আসে তার কোন হিসেব নেই।

সরকার পবিত্র মাহে রমজান মাসে যেন লোডশেডিং না দেয়া হয় এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে সে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্ত রমজানের ১৫ রোজা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ ভাল থাকলেও তার পর থেকে গত সপ্তাহ খানেক যাবৎ লোডশেডিং মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বেড়ে গেছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হয় রোজাদারগণ।লোডশেডিং এর সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন মসজিদের পানির ট্যাংকিগুলোতে পানি না থাকায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয় নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদেরকে। ওজুখানায় পানি না না থাকায় অধিকাংশ মুসল্লিগণ জামায়াতে নামাজ আদায় করতে পারছেন না।এছাড়া ইফতারির সময়, তারাবি নামাজের সময় ও সাহরি খাওয়ার সময় ঘন ঘন লোডশেডিং দেয়ায় সকল শ।রেণী পেশার মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।

এদিকে লোডশেডিং এর কারনে ঈদ পূব মুহূর্তে বিপনী বিতানগুলোতে কেনাকাটা করতে আসা নারী পুরুষদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।

যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে গত কয়েকদিনের পল্লী বিদ্যুৎ এর ভেল্কিবাজি নিয়ে নানা ধরনের কথাবার্তা লিখছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা।

কাজী মোঃ সোহাগ বলেন,বর্তমান সরকার আমলে বিদ্যুৎ স্বয়ং সম্পূর্ণ হলে এতো লোডশেডিং কেন? কাউসার আহমেদ লিখেছেন, ঘুমুতে যাওয়ার সময় ও ঘুম থেকে উঠেও দেখি বিদ্যুৎ নেই।তাহলে থাকে কখন?

মতলব উত্তর উপজেলা থেকে জাহাঙ্গীর আলম মুন্সি লিখেছেন, গত রোববার ভোরবেলা গেছে বিদ্যুৎ আসে পরদিন সোমবার বেলা এগারোটায়।৩৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল বন্ধ, ট্যাংকি পানি শূন্য ও ফ্রিজে পানি পরতে শুরু করে।

আবু রায়হান লিখেছেন, মতলবে বিদ্যুৎ যায়না, মাঝে মধ্যে আসে।

হঠাৎ করে লোডশেডিং বৃদ্ধি হওয়ার কারন সম্পর্কে জানতে চাইলে, চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মতলব দক্ষিণ জোনাল অফিসের তিজিএম (কম) বলেন, গরমের তিব্রতা বেড়ে যাওয়ায় লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া মতলবে বিদ্যুতের চাহিদা হচ্ছে ১৪ মেগাওয়াট, তন্মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে সাড়ে ৫ থেকে ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এছাড়া রাজধানী ঢাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করাতে গ্রামের চাহিদা কমিয়ে সেখানে সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে এ সমস্যা বেশী দিন থাকবেনা। সহসাই কেটে যাবে।

প্রতিবেদক: মাহফুজ মল্লিক, ৩ এপ্রিল ২০২৪