মতলবে ১ শ’১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই।এতে মতলব দক্ষিণ ও মতলব উত্তরে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান ও দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
মতলব দক্ষিণ ও মতলব উত্তর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ দু’উপজেলায় ২শ’৯০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তন্মধ্যে মতলব দক্ষিণ উপজেলার ১শ’১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪১টিতে এবং মতলব উত্তর উপজেলায় ১শ’৮০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৭৬টিতে প্রধান শিক্ষক নেই।
মতলব দক্ষিণ উপজেলার বকচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন,‘তার বিদ্যালয়ে সাড়ে তিন বছর ধরে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য। তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে আছেন। দাপ্তরিক কাজের বাহিরে গেলে সে সময় ক্লাশ নিতে পারেন না। তাঁর ক্লাশগুলোও অন্যরা নিতে চান না। এতে ক্লাশ বন্ধ রাখতে হয়। ফলে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান।
মতলব উত্তর উপজেলার উত্তর লুধুয়া গ্রামের বাসিন্দা মো.কাউছার আহম্মেদ চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘তার এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঁচ বছর ধরে প্রধান শিক্ষক নেই। প্রধান শিক্ষক হচ্ছে নৌকার মাঝি। মাঝিহীন নৌকার মতেই এলোমেলো চলছে তার বিদ্যালয়।
আধুর ভিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারিয়া আক্তার বলেন, ‘হেডস্যার’ ও অন্য শিক্ষক কম থাকায় আমাগো সব ক্লাশ নিয়মিত অয় না। এক ক্লাশে শিক্ষক গেলে আরেকটাতে যায় না। আমাগো পড়ালেহা নষ্ট অয়।’
মতলব দক্ষিণের শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জুলফিকার আলী জনি চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে জ্যৈষ্ঠ শিক্ষকেরা প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাওয়ার জন্যে আদালতে রিট করেছিল। এর কারণে এতদিন প্রধান শিক্ষকের পদগুলো শূন্য ছিল। তবে এখন শূন্য পদ পুরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’
মতলব উত্তরের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘জটিলতার কারণে সহকারী শিক্ষকেরা প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি না পাওয়ায় এবং নতুন নিয়ম না হওয়ায় এ সমস্যা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্যগুলোতে লোক নিয়োগের জন্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সম্প্রতি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেদক- মাহফুজ মল্লিক
: : আপডেট, বাংলাদেশ ৭: ৩৩ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ মঙ্গলবার
ডিএইচ