চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের নেদামী গ্রামের সিদ্দিক প্রধানের ছেলে আলমাছ মিয়া তার স্ত্রীর ‘পরকীয়া প্রেমিক’ ও তার সহযোগীদের হাতে ব্যাপক মারধরের শিকার হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রোববার (২৯ মে) রাত ৯টায় তার স্ত্রী রুজিনা ও তার ‘পরকীয়া প্রেমিক’ একই গ্রামের এবাদুল হক মাঝির ছেলে খলিলকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় তার স্ত্রী ও খলিল দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। আলমাছ খলিলের স্ত্রী পিছু নিয়ে তাকে ধরতে সক্ষম হয়। ততক্ষণে এলাকায় খবরটি ছড়িয়ে পড়ে।
পরের দিন সোমবার (৩০ মে) সকালে ‘পরকীয়া প্রেমিক’ সাবেক চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন মাস্টার ও সাবেক মেম্বার সিরাজুল ইসলামের সামনে থেকে আলমাছকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে তৌহিদ, জলিল, ই¯্রাফিল, সেরাজুল মাঝির ছেলে খোরশেদ আলম, আক্তার হোসেন, মহর আলী মাঝির ছেলে নজরুল মাঝিসহ ১০/১২জন মিলে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করলে আলমাছ গুরুতর আহত হয়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
আহত আলমাছ চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, সে গাজীপুরে হালুয়া রুটির ব্যবসা করতো। গত ২ মাস আগে বাড়ি এসে অটো রিক্সা চালানো শুরু করে। এরমধ্যে আলমাছ স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক বুঝতে পারে। এ সূত্রে খলিল ও তার স্ত্রীকে একসাথে আপত্তিকর অবস্থায় ১০/১২ দিন আগে ধরে ফেলে। কিন্তু গ্রামের কেউ বিশ্বাস করতে চায়নি।
পুনরায় ঘটনার দিন দু’জনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে, তার অবস্থান টের পেলে বিবস্ত্র অবস্থায়ই দু’জন দু’দিকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু খলিল দ্রুত পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও স্ত্রীর তার হাতে ধরা পড়ে।
এ ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন মাস্টার চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘আমি এ ঘটনা সম্পর্কে আলমাছের সাথে কথা বলছি। আলমাছকে খলিলসহ তার ভাইয়েরা আমার সামনে থেকে জোর করে ধরে নিয়ে মারধর করেছে। আমি তাদেরকে বাধা দিলেও তারা আমার কথা শুনেনি।’
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৮:৪৩ পিএম, ৩১ মে ২০১৬, মঙ্গলবার
ডিএইচ