চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় কৃষক-কৃষাণীরা এখন সোনালী আঁশ পাট ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বাংলার এ সোনালী ফসলের মূল্য এবার গত বছরের তুলনায় বেশি। চলতি মৌসুমে মজুরের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা তেমন বেশি লাভ গুণতে পারছেন না। এ বছর পাটের ফলন ভাল হয়েছে।
তবে এবার রোপণ মৌসুমের শুরুতে খড়ার কারণে কৃষকরা বাড়তি পয়সা খরচ করে জমিতে সেচ দিয়ে ভিজিয়ে পাট বপন করেছেন। আর যারা জমি না ভিজিয়ে দেরিতে পাট বপন করেছেন তাদের ফলন কম হয়েছে।
কৃষকরা জানান, বর্তমানে ১৪শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা মণ দরে পাট বিক্রি হচ্ছে। এবার ১ একর জমিতে প্রায় ২০ মণ পাট হয়েছে। একর প্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ২২/২৪ হাজার টাকা। এক একর জমিতে প্রায় ৫০ কর্ম দিবস লেবার লেগেছে। বর্তমানে শ্রমিকের দৈনিক মজুরি প্রায় ৪শ-৫শ’ টাকা। পাটের মূল্যের পাশাপাশি পাটখড়ির চাহিদাও প্রচুর বেড়েছে এবং দামও বেশ চড়া।
পাটখড়ি লাভের আশায় চাষীদের পরিবার ছাড়াও প্রতিবেশী মহিলারাও অংশ নিয়ে থাকে। যে যত পাটখড়ি ছাড়াতে পারবে তার তিন ভাগের এক ভাগ খড়ি সে পায়।
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘মতলব দক্ষিণ উপজেলার প্রায় ৬১০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দেশী পাট চাষ হয়েছে ৩শ ’৫০ হেক্টর জমিতে, তোষা পাট চাষ হয়েছে ২ শ ’৫০ হেক্টর জমিতে এবং নতুন প্রজন্মের মেস্তা পাট চাষ হয়েছে ১০ হেক্টর জমিতে। কৃষকরা এখন পাট ঘরে তোলছেন।’
খান মোহাম্মদ কামাল : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৪:০০ পিএম, ৩০ জুলাই ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ