শীর্ষ সংবাদ

মতলবে শ্রমিক সংকট : বোরোর বাম্পার ফলনেও খুশি নন কৃষক

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার উৎপাদন হয়েছে। শ্রমিক সংকটের কারনে সে উৎপাদনকৃত ফসল ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা।

শ্রমিক পাওয়া গেলেও দেড়গুণ বেশি টাকা দিতে হচ্ছে তাদেরকে। গত কয়েকদিনের কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় অধিকাংশ জমির কাঁচা পাঁকা ধান তলিয়ে যায়। ফলে ধান কর্তনে শ্রমিক মুজুরী বেশী লাগছে।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানায়, গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় বোরো ধানের আবাদ বেশি হয়েছে।

এছাড়া অনুকুল আবহাওয়ার কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন বেশি হয়।

উপজেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নে ৪ হাজার ৯৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়।

তারমধ্যে মতলব পৌরসভায় ৮২০ হেক্টর এবং নায়েরগাঁও উত্তর, নায়েরগাঁও দক্ষিণ, নারায়নপুর, খাদেরগাঁও এবং উপাদী উত্তর ও উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়নে ৪ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।

এরইমধ্যে জমির ৪০ ভাগ ধান কর্তন করা হয়েছে। হেক্টর প্রতি ধান উৎপাদন হয় প্রায় ৬.৩৫ মেট্রিকটন। চলতি মৌসুমে ৩১ হাজার ৪০৫ মেট্টিকটন ধান উৎপাদনের আশাবাদী। গত বছর (২০১৭ সাল) পৌরসভাসহ ৬ ইউনিয়নে আবাদ হয়েছিল ৪ হাজার ৭৭৪ হেক্টর জমিতে।

পৌরসভার নবকলস গ্রামের কৃষক হাসমত আলী হাসু চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ২ একর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। আবহাওয়া ভাল থাকায় উৎপাদন ভাল হয়েছে। তবে যথা সময়ে শ্রমিক না পাওযায় তাদেরকে (শ্রমিক) দেড়গুণ টাকা দিতে হচ্ছে।

খাদেরগাঁও ইউনিয়নের নাগদা গ্রামের কৃষক মনির বকাউল বলেন, ২ একর জমিতে বোরো ধান করেছে। বর্তমানে প্রায় ৮০ ভাগ ধান পাঁকা রয়েছে। গত বেশ কয়েকদিন যাবৎ ঝড় বৃষ্টির কারনে জমিনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় সব ধান তলিয়ে যায়। পানি কমলেই ধান কর্তন করা হবে।

নলুয়া গ্রামের কৃষক ওয়াদুদ ছৈয়াল বলেন, তার জমিতে উৎপাদিত ধান ঝড় বৃষ্টির কারনে কৃষি অফিসের পরামর্শক্রমে ৮০% পাকা ধান কর্তন করা হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার বোরো ধানের আবাদ বেশি হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা। হঠাৎ করে আসা ঝড় বৃষ্টির ফলে জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলেও ধানের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। ধানের উৎপাদিত ফলনে কৃষকরা খুশি। তবে তাদের শ্রমিক মুজুরি বেশি লাগছে।

আবহাওয়াজনিত কারনে জমির উৎপাদিত ৮০ ভাগ পাঁকা ধান কর্তনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে কৃষকদেরকে।

প্রতিবেদক- মাহফুজ মল্লিক

Share