চাঁদপুরেরমতলব দক্ষিণ উপজেলার দক্ষিণ বহরী গ্রামে নয় বছর বয়সী এক নাবালিকা কন্যাশিশুকে ধর্ষণের দায়ে সুমন হোসেন (৩২) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গত মঙ্গলবার ওই শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় বুধবার রাতে শিশুটির মা বাদী হয়ে সুমনের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের আইনে একটি মামলা করেন।
গ্রেপ্তার সুমন হোসেনের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সমেশপুর গ্রামে। ওই গ্রামের মৃত সুজাত আলীর ছেলে তিনি। তার শ্বশুরবাড়ি মতলব দক্ষিণ উপজেলার দক্ষিণ বহরী গ্রামে। সুমন হাজীগঞ্জ এলাকার অটোরিকশাচালক।
শিশুটির পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে গত সোমবার সুমন মতলব দক্ষিণ উপজেলার বহরী গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। গত মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর শাশুড়ি পারিবারিক কাজে বাড়ির বাহিরে যান। সুমনের চলাফেরায় সন্দেহ হলে এ সময় তার স্ত্রী ঘরের সিলিংয়ের ওপরে গোপনে অবস্থান করেন।
কেউ নেই ভেবে সুমন শ্বশুরঘরের একটি কক্ষে ওই নাবালিকা শ্যালিকাকে ধর্ষণ করেন। সুমন যাতে তার এ অপকর্মের কথা পরে অস্বীকার করতে না পারেন, সেজন্য তার স্ত্রী গোপনে কৌশলে নিজের মুঠোফোন দিয়ে ধর্ষণের পুরো ঘটনাটি ভিডিও করে রাখেন।
বিষয়টি তাঁর পরিবারকেও জানান। মানসম্মানের ভয়ে প্রথমে ওই পরিবারের লোকেরা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে বাধ্য হয়ে সুমনের শাশুড়ি বুধবার রাতে মতলব দক্ষিণ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তার (সুমন) বিরুদ্ধে মামলা করেন। গতকাল রাত ১১টায় পুলিশ শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। সুমনের স্ত্রীর ধারণ করা ভিডিওটিও জব্দ করা হয়।
সুমনের শাশুড়ি জানান, ছয় বছর পূর্বে সুমন তার বড় মেয়েকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করেন। স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও সুমন দীর্ঘদিন ধরে পরনারীতে আসক্ত। এ নিয়ে তাঁদের সংসারে কলহ ও অশান্তি লেগেই আছে। এখন তাঁর ছোট্ট নাবালিকা মেয়ের ইজ্জতও নষ্ট করেছেন। এতে তাঁর ছোট্ট মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।
মতলব দক্ষিণ থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়ার ভাষ্য, চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। শিশুটির মা বাদী হয়ে সুমনকে আসামি করে গতকাল রাতে তাঁর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। গতকাল রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রতিবেদক: মাহফুজ মল্লিক, ১১ আগস্ট ২০২২
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur