একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল আলোচিত-সমালোচিত নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে।
পরে গতকাল মঙ্গলবার হঠাৎ করেই এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের চিঠি দেয়া হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নূরুল আমিন রুহুলকে।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের রায়ে সাজাপ্রাপ্তরা মামলা খারিজ হওয়ার পরও পাঁচ বছরের মধ্যে নির্বাচন করতে পারবে না বলে উল্লেখ করা হয়।
এ আদেশের ফলে মায়াও নির্বাচন করতে পারবেন না। দুদকের কর ফাঁকির মামলায় ২০১৩ সালে মায়ার ১৩ বছর সাজা হয়। আপিলে গত ৮ অক্টোবর মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।
কে এই নূরুল আমিন রুহুল?
জানা গেছে, নূরুল আমিন রুহুল অবিভক্ত ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দক্ষিণ শাখার সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক এই ছাত্র নেতা। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার হাতে প্রথম করা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির ৭ সহ সম্পাদকের একজন এই নূরুল আমিন। এ ছাড়াও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
১৯৮৫ সালে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি থাকায় এরশাদ সরকার পতন আন্দোলনে তার নেতৃত্বে ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল করে আটক হয়ে নির্যাতিত হয়। ১৯৯৪ সালে হরতালে পিকিটিংয়ের সময় আটক হন তিনি।
তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের নামে ৬০ শতাংশ জায়গার ওপর ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছেন চাঁদপুরে।
রাজনীতি অঙ্গনে তার যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে এলাকায়। বহুবার তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছেন। কিন্তু মায়ার কারণে কখনও মনোনয়ন পায়নি। অবশেষে গত চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে লড়াই করেন। তবে তাতেও বাঁধ সাজেন মায়া।
প্রকাশ্যে রুহুলের বিরোধিতা করেন তিনি। কাজেই জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানও হতে পারেনি রুহুল। এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেলেও মায়ার সহযোগিতা না পেলে নির্বাচিত হওয়া নিয়েও সংশয় রয়েছে।
রুহুলের বাড়ি মতলব উত্তর উপজেলার নাউরী গ্রামে। ১৯৫৯ সালের ১৪ অক্টোবর এই গ্রামেই জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতা মরহুম আওলাদ হোসেন বেপারী। বর্তমানে ঢাকার সেগুন বাগিচায় বসবাস করছেন চাঁদপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া এই নেতা।
মনোনয়ন পাওয়ার পর নূরুল আমিন রুহুল বলেন, ‘নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, আমি নির্বাচনী এলাকায় যাচ্ছি মনোনয়নপত্র দাখিল করার জন্য। আমি নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে কাজ করে যাব।’ (জাগো নিউজ)
বার্তা কক্ষ
২৮ নভেম্বর,২০১৮