চলমান দাখিল পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে পরীক্ষার হলে নকল সরবরাহের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় মাদ্রাসা কেন্দ্রে গিয়াস উদ্দিন বকাউল নামে এক অফিস সহকারীর ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া দায়িত্ব অবহেলার কারণে কেন্দ্র সচীব অত্র মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আবুল বাসার ও হল সুপার কাচিয়ারা আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ ওয়ালী উল্লাহকে দায়িত্ব পালন থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। গিয়াস উদ্দিন বকাউল ওই মাদ্রাসার অফিস সহকারী ( কাম) হিসাব সহকারী পদে চাকুরী করেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) উপজেলার ঘিলাতলী সামাদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে পারিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত এ রায় দেন।
জানা গেছে, ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার গণিত বিষয়ের পরীক্ষা চলছিল। এ সময় গিয়াস উদ্দিন বকাউল পরীক্ষার্থীদেরকে তিনি লিখিত উত্তরপত্র সরবরাহ করেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমজাদ হোসেনকে জনৈক সংবাদকর্মী অবহিত করলে তিনি সাথে সাথে ওই কেন্দ্রে এসে গিয়াস উদ্দিন বকাউলকে জিজ্ঞেস করলে তিনি তার অপরাধ স্বীকার করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বসিয়ে তাকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আমজাদ হোসেন বলেন, ওই মাদ্রাসার অফিস সহকারী ( কাম) হিসাব সহকারী গিয়াস উদ্দিন বকাউল কেন্দ্র সচীব ও হল সুপারের অনুমতি ছাড়া পরীক্ষা চলাকালে একাধিকবার বাহিরে যাতায়াত এবং নকল সরবরাহ করছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে সে তার অপরাধ স্বীকার করেন। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া দায়িত্ব অবহেলার কারণে কেন্দ্র সচিব আবুল বাসার ও হল সুপার মাওলানা মোঃ ওয়ালী উল্লাহকে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
প্রতিবেদক: মাহফুজ মল্লিক, ১৭ এপ্রিল ২০২৫