চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে প্যাথলজি ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার। অদক্ষ ও ভুয়া টেকনোলজিষ্ট দিয়েই চলছে প্যাথলজিক্যালের কার্যক্রম।
এতে সাধারণ রোগীরা হয়রানি ও প্রতারণার স্বীকার হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঠিক নজরদারি ও তদারকি না থাকায় ওইসব প্যাথলজিক্যালের মালিকরা তাদের খামখেয়ামীমত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৭টি প্যাথলজিক্যাল, ডায়গনেষ্টিক এন্ড ডায়াবেটিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে দি সেবা প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরী, দি মদিনা প্যাথলজিক্যাল সেন্টার, সাকিব ডায়গনষ্টিক সেন্টার, পপুলার ডায়াবেটিস সেন্টার, দি নোভা মেডিকেল সেন্টার, মতলব সেন্ট্রাল ডায়গনষ্টিক সেন্টার, নিউ ল্যাব এইড ডায়গনষ্টিক সেন্টার, লজ্জাতুন্নেছা ডায়গনষ্টিক সেন্টার, স্কয়ার ডায়গনষ্টিক সেন্টার, নায়েরগাঁও মেঘনা ডায়গনষ্টিক সেন্টার, নিউ আল রাজী ডায়গনষ্টিক সেন্টার, গ্রীন লাইফ ডায়গনষ্টিক সেন্টার, জননী মেডিকেল সেন্টার, ইসলামিয়া ডায়গনষ্টিক সেন্টার।
এগুলোর মধ্যে পপুলার ডায়বেটিস সেন্টার (নারায়ণপুর) ও লজ্জাতুন্নেছা ডায়গনষ্টিক সেন্টার (মতলব বাজার) এ দুটি প্যাথলজির কোন তথ্যই পাওয়া যায়নি।
এছাড়া ১৫টি ডায়াগনেষ্টিক সেন্টারের মধ্যে মতলব সেন্ট্রাল ডায়গনষ্টিক সেন্টার, নিউ ল্যাব এইড ডায়গনষ্টিক সেন্টার, নিউ আল রাজী ডায়গনষ্টিক সেন্টারের লাইসেন্স ও লাইসেন্সের নবায়ন করে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন।
বাকি ১২টি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের লাইসেন্স থাকলেও নাবায়ন করেনি। পিতামবর্দ্দী বাজারের ইসলামিয়া ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের কোন লাইসেন্স করেনি। প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যক্রম চালুর পর থেকে অধিকাংশগুলোই তথ্য গোপন করে রোগী সাধারণদের সাথে প্রতারণা করে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
মতলব সদরের ৩/৪টি প্রতিষ্ঠান ব্যাতীত উপজেলার বেশিরভাগ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে অদক্ষ ও ভুয়া টেকনোলজিষ্ট এবং কর্মচারী দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেখা যায়। ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলোতে একই রোগের পরীক্ষার রিপোর্ট একেটিতে একেক রকম হয়।
এতে রোগীরা প্রতারিত হচ্ছে এবং সঠিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে আসা ৮/১০ জন রোগীর সাথে আলাপ করে জানা যায়, সাধারণ একটি রোগ হলেই বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার নাম করেই হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার টাকা পরিশোধ করে রোগীদের হাতে ঔষধ কেনার টাকা থাকে না।
এছাড়া ভুয়া ডাক্তার বসিয়েও রোগীদের সাথে প্রারণা করছে। কয়েকটি প্যাথলজির মালিকের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবেই কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
এ ব্যাপারে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ কে এম মাহাবুবুর রহমান জানান, উপজেলার প্রত্যেকটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিককে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখানোর জন্য ইতিমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অনিয়ম ও প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মতলব দক্ষিন করেসপন্ডেন্ট ।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ১২:৩৮ এএম, ২০ অক্টোবর ২০১৬, বৃহস্পতিবার
এইউ