চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় বহরী গ্রামে আজ রোববার বিকেলে স্বামী পরিত্যক্তা মাকসুদা আক্তারকে (৫০) লাথি মেরে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর ভাবি কোহিনুর আক্তারে বিরুদ্ধে। লাশ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে গেছে পুলিশ।
জানা যায়, প্রায় ৩০ বছর আগে মাকসুদার বিয়ে হয়। বিয়ের পাঁচ বছর পর তাঁর সঙ্গে স্বামীর ছাড়াছাড়ি হয়। ওই দম্পতির একটি মেয়ে রয়েছে। ওই মেয়েটির অনেক আগেই বিয়ে হয়। স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির সময় সালিস বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাকসুদাকে ৫০ হাজার টাকা দেন তাঁর স্বামী। ওই টাকা জমা রাখা হয় মাকসুদার ভাই মনির হোসেনের কাছে। কিন্তু অদ্যাবধি মনির ওই টাকা মাকসুদাকে দেননি। এ নিয়ে প্রায়ই মনির ও মাকসুদার মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকত। এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে মাকসুদাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন তাঁর ভাবী কোহিনুর আক্তার।
গতকাল মনির হোসেন গরু বিক্রি করে তিন লাখ টাকা পান। সেখান থেকে ওই ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার দাবি করেন মাকসুদা। কিন্তু মনির ওই টাকা দিতে অপারগতা জানান। আজ বিকেলে পুনরায় মাকসুদা তাঁর পাওনা ৫০ হাজার টাকা চাইলে ওই টাকা দিতে অস্বীকার করেন মনির। এ নিয়ে মনির, মাকসুদা ও মনিরের স্ত্রী কোহিনুরের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে কোহিনুর সজোরে ননদ মাকসুদার তলপেটে লাথি মারেন। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যে জ্ঞানও হারিয়ে ফেলেন। এরপর ঘটনাস্থলেই মারা যান মাকসুদা। খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধারের জন্য মতলব দক্ষিণ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশটি উদ্ধারে ঘটনাস্থলে রয়েছেন পুলিশের একাধিক সদস্য।
মতলব দক্ষিণ থানার এসআই মো. হাবিবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। মামলা হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন। লাশ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে আছেন।
প্রতিবেদক: মাহফুজ মল্লিক, ১২ মার্চ ২০২৩
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur