চাঁপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ‘বড় ভাইয়ের হুমকিতে’ অভিমান করে ইউনুছ মিয়াজী (৩৮) নামে দুই সন্তানের জনক এক রাজমিস্ত্রী আত্মহত্যা করেছে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার দক্ষিণ নারায়নপুর চাপাতলী গ্রামের মিয়াজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক ওই বাড়ির হামিদ মিয়াজীর ছেলে।
নিহতের স্ত্রী আছিয়া বেগমের অভিযোগ, ‘ইউনুছের বড় ভাই আঃ মান্নান মিয়াজী পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাকে ও তার শিশু সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিলে সে বড় ভাইয়ের সাথে রাগে ক্ষোভে অভিমান করে বিষপান করে আত্মহত্যা করে।
আছিয়া বেগম আরো জানান, আঃ মান্নান মিয়াজী তারই বড় বোনেরও স্বামী। (ভায়রা ভাই) কয়েক বছর আগে তার বোনের জামাই তার বোনকে ঘরে রাখা অবস্থায় তার চাচীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। আর ওই সম্পর্কের কথা তার বোন জানতে পেরে একই ভাবে বিষপান করে আত্মহত্যা করে। ওইসময় তিনি রাগ করে বাপের বাড়িতে চলে গেলে আঃ মান্নান মিয়াজী তাকে অপবাদ দিয়ে তার স্বামীর কাছে বলেছে অছিয়া বেগম তার দুই লাখ টাকা নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে গেছেন। তারই সূত্র ধরে ঘটনারদিন আ. মান্নান তার ছোট ভাই ইউনুছের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়।
ঝগড়ার একপর্যায় মান্নান মিয়াজী তার ছোট ভাইকে বলেন, দুই ঘন্টার মধ্যে যদি তার দুই, তিন লাখ না দেন তাহলে তিনি ইউনুছের স্ত্রী, সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করবেন। তখন নিহত ইউনুছ তার প্রতি উত্তরে বলে, ‘আমি জীবিত থাকতে যদি আমার সামনে তাদের মেরে ফেলা হয় তাহলে আমার বেঁচে থেকে কি লাভ। তার চেয়ে বরং আমিই মরে যাই’ এ বলে বড় ভাইয়ের সাথে সে রাগে ক্ষোভে অভিমান করে বিষপান করে।
স্ত্রীসহ পরিবারের অন্রান্য লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে মতলব একটি হাসপাতালে নেন। পরবর্তীতে তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। হাসপাতালের ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আওলাদ হোসেন বলেন, ইউনুছের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আঃ মান্নান মিয়াজীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘ আমি আমার ভাইকে এমন কোন কথা বলিনি। সে কি কারণে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে, তা তার স্ত্রী (আছিয়া) ভালো বলতে পারবে। ’
কবির হোসেন মিজি ও মাজহারুল ইসলাম অনিক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০:৩৩ পিএম, ৯ জানুয়ারি ২০১৮, মঙ্গলবার
ডিএইচ