পবিত্র ঈদুল আযহার আর মাত্র তিন দিন বাকী। ঈদুল আযহা উপলক্ষে মতলব দক্ষিণ উপজেলা ও পৌরসভার ২৪ স্থানে কোরবানির পশুর হাট জমে উঠলেও ঈদের বাজার জমে উঠেনি।
প্রত্যেকটি বাজারে চাহিদা অনুযায়ী দেশি-বিদেশি গরু উঠেছে। ক্রেতারা তাদের সাধ্যমতো কোরবানির পশু ক্রয় করছেন।
পৌরসভার ঢাকিরগাঁও বালুর মাঠ, বকুলতলা, দক্ষিণ বাইশপুর ও নারায়ণপুর বাজার, আশ্বিনপুর বাজার এবং পিতামবর্দ্দী বাজার ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতা সাধারণের চাহিদার চেয়ে বেশি গরু উঠেছে। মনের আনন্দে ক্রেতা সাধারন স্বজনদেরকে নিয়ে গরু ক্রয় করছে।
অপরদিকে ঈদের বাজারে গার্মেন্টেসের দোকান, জুতার দোকান, কাপড়ের দোকানসহ নিত্যপণ্যের দোকানগুলোতে ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
বিক্রেতারা জানান, ‘ক্রেতারা ঈদের বাজারে আসলেও কেনাকাটায় ঝুঁকছেনা কেউ। কিন্তু কি কারণে এবার এমন হচ্ছে আমারা কিছুই বুঝতে পারছি না।’
নারায়ণপুর বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, ‘এবার এখনও গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের মুখেও নেই কোনো হাসি। লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে চাহিদা মতো বেচাকেনা না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা শঙ্কিত। গত বছর ঈদের ৩ থেকে ৪ দিন আগে ধুম বেচাকেনা হয়েছে।’
মতলব বাজারের মসজিদ মার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে দোকানের বিক্রেতারা বসে আছে কিন্তু ক্রেতা নেই। ব্যবসায়ীরা বসে গল্প করছে।
গাউছিয়া মার্কেটের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানান, ‘গত বছর এ দিনে ভালো বেচাকেনা হয়েছে। অন্যদিকে দর্জি দোকানগুলোতে তেমন কোনো কাজ নেই। ঈদের বাজার হিসেবে মন্দাভাব বিরাজ করছে।’
তবে কেউ কেউ বলছেন কোরবানির পশু কেনার পর মুদি ও গার্মেন্টসের দোকানগুলো জমে উঠবে।
মতলব দক্ষিণ করেসপন্ডেন্ট : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৩:১০ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ