মতলব দক্ষিণ উপজেলার ১নং নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের চুন্নু মার্কেটে আ’লীগ প্রার্থী মিজানুর রহমান সেলিমের নির্বাচনী অফিসে ২ মে গভীর রাতে আগুন ও ভাংচুর করেছে দুবৃত্তরা। মঙ্গলবা (৩ মে) সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আ’লীগের কর্মী সমর্থকরা এ ঘটনার প্রতিবাদে ২ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, ওই দিন গভীর রাতে ১নং নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়ন আ’লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান সেলিমের নির্বাচনী অফিসে আগুন ও ভাংচুর। এটা শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে এটি আ’লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া আধারা আইডিয়েল স্কুল ভবন ভাংচুর করেছে দুবৃত্তরা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ওই দিন সকাল থেকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কর্মী সমর্থকরা নায়েরগাঁও- পিতাম্বী ও আধারা সড়কে টায়ার জালিয়ে ও রাস্তায় গাছ ফেলিয়ে ২ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে।
পরে চুন্নু মার্কেটে এক প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি এম আজিজ পাটোয়ারী, সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্নসাধারন সম্পাদক ডা নাছির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের, ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন সহ নেতৃবৃন্দ। পরে পুলিশ ঘটনা স্থালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
আধারা আইডিয়েল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও আ’লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন জানান, আমার পরিচালিত বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ ভাংচুর করে ল্যাপটপ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গেছে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান সেলিম জানান, নির্বাচনের নৌকার গণ জোয়ার দেখে প্রতিপক্ষ প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকরা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
বিএনপি প্রার্থী আঃ মান্নান সরকার জানান, যে স্থানে ওই ঘটনা ঘটেছে সেখানে আমার এবং দলের কোন লোক নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারে না। ধানের শীষে নীরব ভোট বিপ্লব ঠেকাতে পরিকল্পিতভাবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার জন্য একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে।
মতলব দক্ষিণ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম জানান, এই ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। থানায় একটি মামলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি অবগত হয়ে পুলিশ প্রশাসনকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মতলব প্রতিনিধি : আপডেট ৭:০০ এএম, ০৪ মে ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ