মতলব উত্তর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ‘নিয়ন্ত্রণ’ করছে দু’শিক্ষক নেতা। তাদের হাতে নাজেহাল হচ্ছেন সাধারণ শিক্ষকরা। ওই দুই নেতা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের যোগসাজোসে ‘লুটপাট’ করে নিচ্ছে বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা।
জানা যায়, পাঁচআনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি আহমেদ আল কামাল ও শরীফ উল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও সমিতির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ শিক্ষক সমিতির নাম ভাঙ্গিয়ে ও স্থানীয় মন্ত্রী মহোদেয়র কাছের লোক সেজে (ভারপ্রাপ্ত) উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মোঃ কবির হোসেনের যোগসাজোসে বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন বরাদ্দ ও প্রশিক্ষণের ভাতার টাকা লুটপাট করছে।
নাম প্রকাশ না করার সত্ত্বে একাধিক শিক্ষক জানান,‘ কোন শিক্ষক বদলি হতে চাইলে তাদেরকে মোটা অংকের টাকা দিতে হয় । শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ভাতা থেকে (বিশেষ করে প্রাক-প্রাথমিক, রুটিন মেন্ট্যানেন্স ও স্লিপ) থেকে শিক্ষা অফিসার ও দুই নেতা টাকা কেটে রাখছে। এছাড়া সংযুক্তি বদলি, ছুটি (ভ্রমন, চিকিৎসা, হজ্জ) মঞ্জুর করতে তাদেরকে টাকা দিতে হয় ।
উপজেলার ১৮৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৯৩৬ জন শিক্ষক ও ১২২ জন দপ্তরির জাতীয় বেতন স্কেলের ফিকশেসনের জন্য ২০০ টাকা করে নিয়েছে।
তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন সাধারণ শিক্ষকরা। শিক্ষকদেও অভিযোগ, এ দু’শিক্ষক নিজ বিদ্যালয়ে না থেকে সারাক্ষণ উপজেলা শিক্ষা বসে থাকে এবং বর্তমান ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসারের সাথে সমন্বয় করে গত এক বছর যাবত এসব দুর্নীতি ও অপকর্ম করে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সভাপতি আহমেদ আল কামালের সাথে মুঠোফোনে আলাপ করলে তিনি বলেন, ‘এ সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি দরকারেই উপজেলা অফিসে আসি। আমরা আরও বিভিন্ন অপকর্ম থেকে শিক্ষা অফিস নিয়ন্ত্রণে এনেছি।’
প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক