Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব উত্তর / মতলবে জমে ওঠেনি ঈদ কেনকাটা : ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জিপাড়ায়
Dorjipara

মতলবে জমে ওঠেনি ঈদ কেনকাটা : ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জিপাড়ায়

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে এখন পর্যন্ত ঈদের কেনাকাটা তেমন জমে ওঠেনি তবে ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জিপাড়াগুলোতে।

তাই মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদকে সামনে রেখে মতলব উত্তরের দর্জিপাড়া এখন মহাব্যস্ত। ঈদকে সামনে রেখে নিজেদের পছন্দমত পোশাক বানাতে তরুণ-তরুণীসহ অনেকেই রমজানের শুরুতেই কাপড় কিনে ছুটে যান দর্জির দোকানে।

আর ঈদকে কেন্দ্র করে অর্ডারের চাপে দর্জিপাড়ার ব্যস্ততাও বেড়েছে বেশ।

সরেজমিনে ঘুরে ছেংগারচর বাজার, আনন্দ বাজার, সুজাতপুর বাজার, কালিপুর, কালীরবাজার, নাউরী বাজারসহ পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন দর্জির দোকান ও টেইলারিং প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যস্ততার ছবিই চোখে পড়েছে। দর্জির দোকানগুলোতে রাতদিন চলছে সেলাই মেশিনের চাকা।

কর্মীদের কেউ কাপড় কাটছেন, কেউ সেলাই করছেন, কেউ বোতাম লাগাচ্ছেন, কেউবা কাপড় ইস্ত্রি করছেন। এভাবে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। তবে গত কয়েক বছরের তুলনা এবার তেমন অর্ডার পাচ্ছেন না বলে দাবি স্থানীয় দর্জিদের।

ছেংগারচর বাজারের ঢাকা লেডিস টেইলার্সের মালিক মোশারফ হোসেন জানান, ঈদের পোশাকের অর্ডার মোটামুটি শবেবরাত থেকেই নেওয়া শুরু হয়। কিন্তু এবার রমজানের এ পর্যন্ত তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না । অথচ কয়েক বছর আগে আমরা ১০-১২ রমজান থেকে অর্ডার নেওয়াই বন্ধ করে দিতাম।

একই কথা জানান, এশিয়ান টেইলার্স, ফয়সাল টেইলার্স, আল মদিনা টেইলার্স, ইসলামীয়া টেইলার্স, মামুন টেইলার্স, ষ্টার টেইলার্সসহ অন্যান্য টেইলার্সের স্বত্বাধিকারীরা।

দর্জিদের দাবি- বর্তমানে মানুষ রেডিমেট কাপড় পরতে অভ্যস্ত হচ্ছে বলে অর্ডার আর আগের মত পাওয়া যায় না। একটি শার্ট তৈরিতে শহরের টেইলার্সগুলো মজুরি নিচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। প্যান্টের মজুরি ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। দোকানভেদে এই মজুরির পরিমাণ আরো বেশি।

এভাবে মহিলাদের পোশাক তৈরিতেও উচ্চ মজুরি নেয়া হচ্ছে। সালোয়ার-কামিজের মজুরি (সাধারণ মানের) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। ডিজাইন অনুযায়ী এই মজুরি আরও দেড়গুণ থেকে তিনগুণ হয়ে থাকে।

আল মদিনা টেইলার্সের শেখ সাদী জানান, দর্জি শিল্পে এখন বেশির ভাগ অর্ডার আসছে মহিলাদের কাছ থেকে। কারণ মহিলা কিংবা তরুণীদের অনেকেই ফিটিংস পোশাক পছন্দ করেন।

এ পোশাকের বড় একটা অংশের অর্ডার আসে রোজার ঈদেই। তাই অনেকে থান কাপড় কিংবা সেট নিয়ে চলে আসছেন দর্জিপাড়ায়। এ কারণে লেডিস টেইলার্সগুলোয় অন্য সময়ের তুলনায় ব্যস্ততা বেড়ছে।

প্রতিবেদক- খান মোহাম্মদ কামাল

Leave a Reply