চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার উত্তর পিংড়া গ্রামের কবিরাজ বাড়িতে আপন চাচীর সাথে ভাতিজার ‘অনৈতিক কাণ্ড’ দেখে ফেলায় প্রত্যক্ষদর্শীদের ‘হুমকি’ দিচ্ছেন ভাতিজা। শুক্রবার (২২ জুলাই) দিনে-দুপুরে চাচী লাকী বেগমের ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় লোকজনের কাছে ধরা পড়েন তারা।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, ‘উপজেলার উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়নের উত্তর পিংড়া গ্রামের কবিরাজ বাড়ির কাশেম কবিরাজের ছেলে রুবেলের (১৮) সাথে অলু কবিরাজের স্ত্রী ও পাঁচ সন্তানের জননী লাকী বেগম (৪০) দীর্ঘদিন ‘পরকীয়া’ সম্পর্কে লিপ্ত।
এই নিয়ে বাড়ির লোকজন তাদের বহুবার সর্তক করে দিলেও তারা তাদের ‘অবৈধ সম্পর্ক’ চালিয়ে যায়। রুবেলে পিতা কাশেম ও লাকীর স্বামী অলু একে অপরের আপন চাচাতো ভাই।
ঘটনার প্রত্যদর্শী হারুন কবিরাজের স্ত্রী রোকেয়া, রুহুল আমিনের স্ত্রী রাশিদা, আবুল কালামের স্ত্রী নাছিমা, খায়ের কবিরাজের স্ত্রী রুমাসহ ওই বাড়ির একাধিক পুরুষ জানায়, ‘তাদের সম্পর্ক নিয়ে বহুবার সর্তক করা হলেও তারা মানেনি। ঘটনার দিন সকাল ৯টায় লাকীর ঘরেই আপত্তিকর অবস্থায় তাদের পাওয়া যায়। এই নিয়ে রাতে শালিশী বৈঠকে অপকর্মের সত্যতা মিলে এবং তাদের দু’জনের পিতা ও স্বামীকে হাজির হতে বলা হয়।’
রুবেলের পিতা ও লাকীর স্বামী সিলেটে অবস্থান করার কারণে শালিশী বৈঠকের মাতব্বররা কোন সিদ্বান্ত নিতে পারেনি।
ওই ঘটনার পর থেকে রুবেল বিভিন্ন ভাবে ‘হুমকি’ দিচ্ছে প্রত্যক্ষদর্শীদের।
এই নিয়ে রুবেলের সাথে কথা বলতে চাইলে সে সাংবাদিক এসছে শুনে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
তবে লাকী বেগম পরকীয়া সর্ম্পকের কথা অস্বীকার করে চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘রুবেল আমার মেঝো মেয়েকে বিয়ে করতে চায় বলেই ঘরে এসছিলো।’
চাচী-ভাতিজার ‘পরকীয়া’ কান্ড এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। সব স্থানেই তাদের এই অপকর্ম নিয়ে আলোচনা চলছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নাজমা আক্তার চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘বিষয়টি শুনেছি, তবে ওই বাড়ির কেউ এ নিয়ে আমার কাছে আসেননি।’