চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় খর্গপুর গ্রামে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণে দগ্ধ গৃহবধূ রহিমা বেগম (৩৫) ৫ দিন পর আজ রবিবার সকাল ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ওই গৃহবধূর দেবর মো. সাজ্জাদ হোসেন তাঁর মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেন। গত মঙ্গলবার রাতে বসতঘরের একটি কক্ষে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হলে পরিবারের আরও চার সদস্যসহ তিনি মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে রহিমা বেগম ও তার কন্যা ফাহিমা আক্তার ও ফারিহা আক্তারের অবস্থা আশংঙ্কজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে লাইফ সার্পোটে রাখা হয়।
রহিমা বেগম উপজেলার খর্গপুর গ্রামের কৃষক কামরুল হোসেনের স্ত্রী। তিনি ২ মেয়ে ও এক পুত্রসন্তানের মা। ওই গ্রামের একটি আধাপাকা বাড়িতে স্বামী ও ছেলে-মেয়ে নিয়ে তিনি বসবাস করতেন।
রহিমার দেবর মো. সাজ্জাদ হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, গত মঙ্গলবার রাত পৌণে নয়টায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তাঁর চাচাতো ভাই কৃষক কামরুল হোসেন, তাঁর (কামরুল) স্ত্রী রহিমা বেগম, রহিমার দুই মেয়ে ফাহিমা আক্তার (২০) ও ফারিহা আক্তার (১২) দগ্ধ হন। ওই দিন পরিবারের লোকজন তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন। সবচেয়ে বেশি দগ্ধ হন তাঁর ভাবি রহিমা বেগম। তাঁর শরীরের ৫৮ শতাংশ পুড়ে যায়। চারদিনের বেশি সময় ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর আজ সকাল ১০টায় ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। আজ বিকেলে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
মো. সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, ওই ঘটনায় দগ্ধ তাঁর দুই মেয়ে এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থা উন্নতির দিকে।
পরিবার, ফায়ার সার্ভিস বিভাগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার রহিমা বেগম (৩৫) বসতঘরটির এক পাশে অবস্থিত রান্নাঘরে সিলিন্ডারের গ্যাসের সাহায্যে চুলায় খাবার গরম করছিলেন। রান্নাঘরের তাপে আচমকা বিকট শব্দে গ্যাস সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হলে সেখানে আগুন ধরে যায়। ওই আগুন ছড়িয়ে পড়লে অল্প সময়েই মালামালসহ গোটা বসতঘরটি পুড়ে যায়। এ সময় রহিমা বেগম, তাঁর স্বামী কামরুল হোসেন ও তাঁদের দুই মেয়ে দগ্ধ হন।
প্রতিবেদক: মাহফুজ মল্লিক, ২৮ মে ২০২৩