মতলব দক্ষিণ

মতলবে খবির হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

চাঁদপুর মতলব দক্ষিণে বহুল আলোচিত মো:খবির হোসেন প্রধানের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেন তার পরিবার। সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় নওগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় পক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত খবির হোসেন প্রধানের স্ত্রী মোসাম্মৎ ফাতেমা কবির।

খবির হোসেন প্রধান ছিলেন চাঁদপুর-২ আসনের সাবেক সাংসদ এয়ার ভাইস মার্শাল (অব:) এম রফিকুল ইসলামের এপিএস ও উপজেলা যুবলীগের সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক। তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার নওগাঁও গ্রামে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা স্বীকার হয়ে খুন হয় খবির হোসেন প্রধান।

তার স্ত্রী মোসাম্মৎ ফাতেমা খবির লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিগত ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে টিএন্ডটি এলাকায় কতিপয় দুস্কৃতকারীদের দাড়ালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে ৪ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনায় খবির হোসেনের বড় ভাই মোশারফ হোসেন প্রধান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মতলব দক্ষিণ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

মতলব দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো: মিজানুর রহমান পাটোয়ারী মামলাটি তদন্ত করেন। এ ঘটনায় সাগর দেওয়ান, বাশার, জুয়েল, নজরুল, মেহেদী দেওয়ান, সাগর, হেলাল, সোহরাব, সোহেল সরকার, মাইনুল কবির হিমেল কে পর্যায়ক্রমে আটক করেন পুলিশ।

আটককৃতদের স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দীতে বেরিয়ে আসে দুলাল দেওয়ানের নাম। পরে তাকেও আটক করা হয়। বিগত ২০১৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর দুলাল দেওয়ানকে প্রধান আসামী করে চার্জশীট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো: মিজানুর রহমান পাটোয়ারী। খবিরের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন আরো বলেন জেলা পরিষদের সম্পত্তির টাকা উত্তোলন নিয়ে তার স্বামীর সাথে দলীয় বিরোধ সৃষ্টি হয়। মূলত এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উল্লেখিতরা পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে।

খবির কে হত্যার পর মামলাটি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত করে মূল আসমাীরা আড়াল হয়ে যায়। মামলার স্বাক্ষীরা যাতে সঠিক স্বাক্ষ্য দিতে না পারে তাদেরকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। এ সকল কর্মকান্ডের পেছনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাবেক এমপির ছোট ভাই তওফিকুল ইসলাম দেওয়ান জড়িত রয়েছে বলেও তিনি দাবী করেন। মামলা তুলে নেওয়া সহ পরিবারদেরকে নানা ধরনের হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে তারা।

বর্তমানে খবির হোসেনের দুইটি কন্যা সন্তান নিয়ে ঢাকায় আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে চাকুরীর উপার্জিত টাকা দিয়ে বহু কষ্টে জীবনযাপন করছেন। বড় মেয়ে ফাহমিদা হোসেন তার বাবার সুষ্ঠ বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এছাড়া তার ছোট মেয়েও সংবাদ সম্মেলনে বলেন আমার একটাই চাওয়া আমার আব্বুর হত্যাকারীদের যেন ফাঁসি হয়। সংবাদ সম্মেলনে খবির হোসেনের স্ত্রী আশংঙ্কা করেন আগামী উপজেলা নির্বাচনে তওফিকুল ইসলাম দেওয়ান চেয়ারম্যান হলে আমার স্বামীর সুবিচার পাবো না এবং আমাদের পরিবারকে নানা ধরনের হয়রানি হবো। তাই সাংবাদিকদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে খবির হত্যা মামলার বাদী মো: মোশারফ হোসেন প্রধান বক্তব্য রাখেন। এ সময় স্থানীয় লিটন মুন্সী, বিল্লাল হোসেন প্রধান, শাহালম মাস্টার, আব্দুল মান্নান খান, জিতু প্রধান, রফিকুজ্জামান প্রধান, বজলুর রশিদসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদক:মাহফুজ মল্লিক
১৮ ফেব্রুয়ারি,২০১৯

Share